বাংলা

টানা ৩২ বছর ধরে ৪২০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীকে অর্থ-সহায়তা দিয়েছেন লি ই ফেই

CMGPublished: 2024-09-02 15:30:53
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জনাব লি’র উত্সাহ ও পরামর্শে ইয়ুননান ঐতিহ্যিক চিকিত্সা ও মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আকুপাংচার বিভাগে ভর্তি হন এবং স্নাতক হওয়ার পর পুয়ার শহরের দুই নম্বর হাসপাতালে চাকরি পান হান সু ছিন। ২০১৭ সালের জুন মাসে তিনি ‘আশা প্রকল্পের স্বপ্ন পূরণ কার্যক্রমের’ বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন। নিজের সাফল্য সম্পর্কে মেয়ে হান বলেন, ‘দাদা লি আমার বড় সমর্থন। তাঁর সহায়তায় আমি একজন চিকিত্সক হতে পেরেছি।’

মেয়ে হান সু ছিনের মতো ইয়ুননান ঐতিহ্যিক চিকিত্সা ও মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াং কুও থাইও দাদা লি-কে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাতে চান। ছেলে ওয়াং কুও থাই’র জন্মস্থান তালি জেলার এরইউয়ান উপজেলার একটি ছোট গ্রামে। ৮ বছর আগে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে তার জন্মস্থানের বাড়িঘর ও ধানক্ষেত সবই বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় সরকারের সহায়তায় গ্রামবাসীরা নতুন জীবন শুরু করেন। ২০২০ সালে ছেলে ওয়াং কুও থাই এবং তার বড় ভাই একসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তাঁরা চীন সরকারের ঋণ পাওয়ার পাশাপাশি, দাদা লি’র আর্থিক সহায়তাও পান।

প্রথমবারের মতো জনাব লি’র বাড়িতে তাঁকে দেখার সময় বেশ অবাক হয়েছিল ছেলে ওয়াং। কারণ, দাদা লি’র বাড়ির রুম ছোট আর আসবাবপত্রও পুরনো। যদিও তিনি প্রচুর টাকা দিয়ে অপরিচিত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিয়ে থাকেন, তবে তাঁর নিজের জীবনযাপন বেশ সরল ও সহজ। কোনো ধনী মানুষের মতো নয়।

বস্তুত, অনেকে ছেলে ওয়াং’র সাথে একমত। কারণ, জনাব লি ই ফেই দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ১১ লাখেরও বেশি ইউয়ান ব্যয় করেছেন। জনাব লি ই ফেই চীনের চিয়াংসু প্রদেশের উচিন শহরের লোক। ১৯৮৩ সালে অবসর নেওয়ার আগে, তিনি খুনমিং সামরিক এলাকার ব্যারাক বিভাগের উপমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯২ সালের ২৭ মে ‘পিপলস ডেইলি’ থেকে আশা প্রকল্পে শানতুং প্রদেশের তাপিয়েশান পাহাড়ের দরিদ্র পরিবারের মেয়ের পড়াশোনায় অর্থ সংগ্রহের খবর পড়েন তিনি। পরে তিনি চীনের কিশোর উন্নয়ন তহবিলে ২০০ ইউয়ান দান করেন।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn