টানা ৩২ বছর ধরে ৪২০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীকে অর্থ-সহায়তা দিয়েছেন লি ই ফেই
টানা ৩২ বছর ধরে যখন জনাব লি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অর্থ-সাহায্য দিয়ে আসছেন। আর এ জন্য তার নিজের জীবনযাপন সহজ-সরল রাখতে হয়েছে। তিনি সবসময় একই পুরনো কাপড়চোপড় পরেন এবং তাঁর জুতা টানা ৭ থেকে ৮ বছরে পুরাতন হয়েছে। বাড়িতে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও হিটিং ব্যবস্থার মেরামত পদ্ধতি শিখে নিয়েছেন তিনি। ফলে বাসায় যে সব জিনিসের মেরামত প্রয়োজন হয়, তিনি নিজেই তা মেরামত করেন। তাঁর ছেলে কারখানা থেকে বেকার হওয়ার পর স্থিতিশীল চাকরি খুঁজে পায়নি।
বৃদ্ধ হওয়ার পর জনাব লি’র শ্রবণশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। হাসপাতালের ডাক্তাররা তাঁকে শ্রবণ-সহায়ক যন্ত্রপাতি কেনার পরামর্শ দেন। এ যন্ত্রপাতির দাম প্রায় ১০ হাজার ইউয়ান। এ কথা শুনে তিনি ডাক্তারের পরামর্শ উপেক্ষা করেন।
তবে, ছাত্রছাত্রীদের জন্য টাকা দেওয়ার সময় তিনি বেশ উদার। উচ্চবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী পাই শু মার সাথে খুনমিংয়ে হাসপাতালে গিয়ে জনাব লি-কে দেখেন। প্রথমবারের মতো সাক্ষাতে জনাব লি তাদের ৪০০ ইউয়ান দেন। তাঁরা গ্রহণ করতে চাননি। তখন লি বলেন, খুনমিংয়ে আসার জন্য তোমাদের টিকিট কিনতে হয়েছে। এ জন্য এ টাকা দিলাম।
ছাত্রী লি চিয়াও প্রাথমিক স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর একদিন রাত ধরে বাসে বসে খুনমিংয়ে দাদা লি’র সাথে দেখা করতে আসে। তখন লি তাকে নিয়ে গ্রন্থাগারে গিয়েছেন এবং তার জন্য নতুন স্টেশনারি কিনেছেন।
ছাত্রী ছাও হং মেই মাধ্যমিক স্কুলের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় তার জন্মগত হৃদরোগ সনাক্ত হয়। তখন তার পিতামাতা জনাব লি-কে চিঠি লেখেন এবং তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ শুনতে চান। লি এ খবরে জেনে ইউয়ুননান যুবক তহবিলের সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের সহায়তায় ছাত্রী ছাওয়ের কুয়াংচৌ শহরের একটি হাসপাতালে বিনা খরচে হার্টের অপরেশন হয়। এ সম্পর্কে মেয়ে ছাও বলল, দাদা লি আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো জীবন দিয়েছেন।