বাংলা

চীনের চিয়াংসু প্রদেশে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা সম্ভব হচ্ছে যাদের দানে

CMGPublished: 2024-07-01 15:00:47
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে তিনি ছিলেন একজন কর্মকর্তা। কিন্তু, তিনি প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে অফিসে আসতেন। এই সেদিনও তিনি সাইকেল চালাতেন। কিন্তু, পরিবারের সদস্যরা তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে একসময় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং তাকে সাইকেল চালানো বন্ধ করতে হয়। জনাব স্যুর দৃষ্টিতে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে, মন ফুরফুরে থাকে, জীবন আনন্দময় হয়, এবং দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়।

যারা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্রঋণ পেয়েছেন, তাদের শুভকামনা করে তিনি বলেন, ‘যদিও আমি তাদের পড়াশোনার সহায়তায় টাকা দিয়েছি, তবে পত্রিকায় আমার নিজের নাম প্রকাশ করতে চাই না।’ শিক্ষার্থীরা শরীরের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি, ভালো করে পড়াশোনা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের বাবা-মারও বাচ্চদের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন। কারণ, বাবা-মায়ের আচরণ আসলে তাদের কথার চেয়ে আরো বেশি কার্যকর।

জনাব ল্যু সি রং সড়ক ও সেতুর প্রকৌশলী, যিনি চলতি বছর অবসর নিয়েছেন। এবার তিনি আলো ছাত্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে মোট ২০ হাজার ইউয়ান দান করেছেন। বস্তুত, ২০১১ সাল থেকে তিনি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিয়ে আসছেন। তিনি ইয়াংসি নাইট পত্রিকা থেকে সংশ্লিষ্ট দরিদ্র শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেন এবং প্রথম বছর ৫০০০ ইউয়ান, দ্বিতীয় বছর ১০ হাজার ইউয়ান দান করেন। পরে, তিনি কয়েকজন দরিদ্র শিক্ষার্থীর সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন, তাদের পড়াশোনায় নির্দিষ্ট আর্থিক সহায়তা দেন। টানা কয়েক বছর ধরে ২ লাখেরও বেশি ইউয়ান দান করেছেন তিনি। ২০২২ সালে তাঁর সহায়তায় কয়েকজন শিক্ষার্থী স্নাতক হয়। তখন থেকে তিনি বার্ষিক ২০ হাজার ইউয়ান দিয়ে নতুন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিচ্ছেন।

ল্যু বলেন, ‘চীনের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ ও সংস্কার নীতির কারণে আমার আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। দরিদ্র পরিবারের বাচ্চাদের দেখে মনে কষ্ট পাই। তাদের কিছু সহায়তা দেওয়া আমার জন্য খুশির ব্যাপার।’ ল্যুর স্ত্রী একজন কিন্টারগার্ডেন শিক্ষক। তিনি বেশ স্নেহময় ও নরম মানুষ। যখন টেলিভিশনে দরিদ্র পরিবারের বাচ্চাদের দেখেন, তখন তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে চান।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn