চীনের চিয়াংসু প্রদেশে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা সম্ভব হচ্ছে যাদের দানে
সম্প্রতি চীনের বিভিন্ন প্রদেশে কাওখাও পরীক্ষার ফলাফল ধাপে ধাপে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় স্কোরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হবে। তখন, উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন শুরু হবে। আগের অনুষ্ঠানে আমরা বলেছি যে, চীনে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ৯ বছরের শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক। তবে, সিচাং বা সিনচিয়াংসহ কয়েকটি সংখ্যালঘু জাতি-অধ্যুষিত এলাকায় টানা ১২ বছর পর্যন্ত শিক্ষা ফ্রি। অবশ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ে আর কোনো বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। তখন থেকে পড়াশোনার বার্ষিক খরচ শিক্ষার্থীর পরিবারকে বহন করতে হয়। যদিও, ২০২০ সালে চীন হত-দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছে, কিন্তু যাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা দুর্বল, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ একটি অতিরিক্তি আর্থিক বোঝা হিসেবেই রয়ে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে, চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাত্রঋণ ব্যবস্থা চালু করেছে। চীনের চিয়াংসু প্রদেশের ইয়াংসি নাইট পত্রিকা ও সিনো লিমিটেড কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে, ২০১৮ সাল থেকে ‘আলো ছাত্রঋণ কার্যক্রম’ অনলাইনে চালু হয়। যারা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে চান, তাঁরা এ দাতব্য প্ল্যাটফর্মে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিতে পারেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা সংশ্লিষ্ট ছাত্রঋণ প্রকল্প এবং সংশ্লিষ্ট দাতাদের গল্প তুলে ধরবো।
৯৫ বছর বয়সের প্রবীণ স্যু টানা ৩ বছর ধরে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন এবং নিজের সঞ্চিত অর্থ থেকে দান করছেন। চলতি বছর তাঁর দানকৃত অর্থের পরিমাণ ৩০ হাজার ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে। আগের দুই বছর তিনি প্রতিবার ১০ হাজার ইউয়ান করে দান করেছেন। এ সম্পর্কে জনাব স্যু বলেন, ‘মাতৃভূমি আমাকে চাকরি দিয়েছে। অবসর নেওয়ার পর আমি বীমাসুবিধা পাচ্ছি, ভালো পেনশনও পাচ্ছি। এখন আমার শরীরের অবস্থাও মোটামুটি ভালো। বেশি টাকা আমার লাগে না। তাই, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে আমি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।’