প্রসঙ্গ: ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা
নানখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিক স্কুলে ২০টিরও বেশি উচ্চমানের আধুনিক এআই পরীক্ষাগার নির্মিত হয়েছে। এ খাতে স্কুলটি অন্যান্য মাধ্যমিক স্কুলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সাথে সহযোগিতা করছে; ‘বুদ্ধিমান মহাশূন্য স্টেশন’সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার চালু করেছে। বস্তুত, বিভিন্ন স্কুলের বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাসরুম, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞানসচেতনা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকাও রাখছে।
শিক্ষক ওয়াং আরও বলেন, এআই প্রযুক্তির বহুমুখী প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন ক্লাস চালুর পর, থিয়ানচিনে এআই শিক্ষাসংশ্লিষ্ট পাঠ্যপুস্তক রচনা করা হয়েছে। এখন নানখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এ মাধ্যমিক স্কুল চীনের এআই প্রযুক্তির ‘শিক্ষাঘাঁটি’-তে পরিণত হয়েছে বলা যায়।
রোবট প্রোগ্রামিং গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় ১৬ বছর আগে থিয়ানচিনের একটি প্রাথমিক স্কুলে এটি প্রথম শুরু হয়। ২০০৮ সালে থিয়ানচিন নানখাই এলাকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সিয়োং ছুন খুই প্রথমবারের মতো ওয়েক্স রোবট প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পারেন এবং স্কুলে ভেক্স সরঞ্জাম আমদানি করেন। পরে তিনি এ ক্লাসের শিক্ষক হন। ছাত্রছাত্রীরা যাতে রোবট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে তিনি দিনরাত ধরে সংশ্লিষ্ট গবেষণাকাজ করতে থাকেন এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রোগ্রামিং কোর্স বোঝাতে থাকেন। প্রায় ২ বছর পর তিনি বাচ্চাদের নিয়ে বিদেশে রোবট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং বিশ্বের মঞ্চে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন।
বহু বছর ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাস নেয়ার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে, ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করেন শিক্ষক সিয়োং। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের স্বেচ্ছাসেবকরা শিশু বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল, আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের রোবট এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় তুলে ধরছেন। এভাবে আরও বেশি শিশু-কিশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।
বস্তুত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল, পরিবার ও সমাজের যৌথ প্রয়াস দরকার। থিয়ানচিন মহানগরের বিভিন্ন স্কুলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাসের উন্নয়নের মাধ্যমে, স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়েছে এবং পিতামাতারা মনে করেন, তাদের বাচ্চাদের সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনাও ক্রমশ বাড়ছে।