প্রসঙ্গ: ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীনের বিভিন্ন এলাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে, একাধিক পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার মান উন্নয়নের প্রচেষ্টা চলেছে। প্রশ্ন হচ্ছে: এই ডিজিটাল যুগে কিভাবে, শিক্ষাসম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কাজকে আরও কার্যকর ও আনন্দদায়ক করা যায়? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চীনের বিভিন্ন এলাকার স্কুলগুলোতে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা চলছে। অনেক স্কুল পরীক্ষামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয়সংশ্লিষ্ট কিছু তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরবো।
নতুন যুগে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা দিতে চাইলে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাসম্পদের ডিজিটায়ন অতি জরুরি। বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে ‘উন্নয়নের ভারসাম্যহীনতা’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চীনের বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনুন্নত এলাকায়, বিজ্ঞানশিক্ষার অবকাঠামো দুর্বল এবং শিক্ষক, পরীক্ষাগারের বিভিন্ন সরঞ্জাম, বিজ্ঞানশিক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য ও যন্ত্রপাতির অভাব আছে।
এই প্রেক্ষাপটে, বিজ্ঞানের সাথে জড়িত শিক্ষাসম্পদের ডিজিটায়নের মাধ্যমে, অনলাইন ক্লাস ও সিমুলেশন পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে, চীনের অনুন্নত ও দূরবর্তী এলাকার স্কুলগুলোর বিজ্ঞানশিক্ষার মান উন্নত করা সম্ভব। এতে উন্নত এলাকার স্কুলগুলোর সাথে এসব স্কুলের বিজ্ঞানশিক্ষার মানের ব্যবধান দ্রুত হ্রাস পেতে পারে।
শিক্ষাসম্পদের ডিজিটায়নের সাথে সাথে, গ্রামাঞ্চলের স্কুলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম স্থাপনার কাজ জোরদার করা জরুরি। তাতে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আরও সহজে, বিজ্ঞানশিক্ষার সাথে সম্পর্কিত সম্পদ হাতের কাছে পাবে ও তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।
বাধ্যতামূলক শিক্ষার পর্যায়ে, বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায় না; শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নানান সমস্যায় পরতে হয়। আজকাল এমন সমস্যা অনেক স্কুলে দেখা যায়। নিরাপত্তার কারণে অনেক স্কুলের শিক্ষকরা ক্লাসে শুধু নির্দিষ্ট সরঞ্জাম ব্যবহার করেন ও ছোট ছোট পরীক্ষা করেন। পরীক্ষাগুলোর নমুনা ও ফলাফলের মধ্যে ব্যাপক কোনো পার্থক্যও থাকে না। বস্তুত, এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তোলা কঠিন কাজ।