প্রসঙ্গ: ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা
বস্তুত, এআর ও ভিআর প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীদের জন্য ভার্চুয়াল বৈজ্ঞানিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব। মরীচিকা, সূর্যগ্রহণ, মাধ্যাকর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক দৃশ্য শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে তুলে ধরা যায় এভাবে। এতে বিজ্ঞানশিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে, মনোযোগ বাড়বে।
শক্তি সংরক্ষণ আইনের দিক থেকে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বজ্রপাতের দৃশ্য ব্যাখ্যা করা একটি অতি জটিল বিষয়। সাধারণ ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারটা বোঝানো কঠিন। আমাদের বাস্তব জীবনে এ ফেনোমেনন দেখে শক্তি সংরক্ষণ আইনের বিষয় নিয়ে গবেষণা করাও সম্ভব নয়। তবে, ডিজিটাল নমুনার মাধ্যমে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য সরাসরি দেখানো যায়, ব্যাখ্যা করা যায়। এতে শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে প্রকৃতির রহস্যময় এ কাজকে অনুভব করতে পারে।
চীনের থিয়ানচিন মহানগরের নানখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমিক স্কুলে বিশেষ এআই ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীরা মানুষ আকারের রোবট ও ছোট আকারের রোবটের সাথে কথাবার্তা বলতে পারে। শিক্ষকরা তাদের সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দেন এবং অনুসন্ধানকাজে উত্সাহ দেন। এ সম্পর্কে স্কুলের তথ্য বিভাগের পরিচালক, এআই ক্লাসরুমের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াং কেং বলেন, স্কুলে এআই প্রযুক্তির পরীক্ষাগার স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য, ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জনের দরজা খুলে দেওয়া; তাদের যত দ্রুত সম্ভব এআই প্রযুক্তির ব্যবহার শেখানো।
প্রায় ৫ বছরের রূপান্তর ও উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় এখন স্কুলের এআই ক্লাসরুমের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আরও উন্নত হয়েছে। এখন সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হার্ডওয়্যার ক্যারিয়ার, সৃজনশীল ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় এখানে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সহকারী রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। রোবটের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা এআই প্রযুক্তির নানান দিক সম্পর্কে জানতে পারছে।