বাংলা

প্রসঙ্গ: ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা

CMGPublished: 2024-06-17 15:30:59
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

তবে, ভিআর ও এআর প্রযুক্তির প্রয়োগ পরিবেশ ও সরঞ্জামের সীমাবদ্ধ দূর করতে পারে, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার নমুনা বিভিন্ন সিমুলেশন মডেলিং সফটওয়্যার মাধ্যমে তুলে ধরা যায়, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ইচ্ছামতো সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার তথ্য জানতে ও নিয়ম শিখতে পারে। এভাবে বার বার পরীক্ষা করলেও, কোনো সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি নষ্ট হবার ভয় থাকে না।

ডিজিটায়নের কারণে, শিক্ষকদের পড়াশোনার মান ও দক্ষতা উন্নত হচ্ছে। পাহাড়াঞ্চলের স্কুলে তথ্যপ্রযুক্তি, জীববিজ্ঞান, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাস যারা নেন, তাদের অধিকাংশই অন্য মেজর থেকে আসা। তাই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তাদের কাছেই নতুন বিষয়। আশার কথা, সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাদের মান অনেক বেড়েছে; তাদের শিক্ষাদানের মানও ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে।

শিক্ষাসম্পদের ডিজিটায়ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ যুগে, দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের চাহিদা মেটাতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে, বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি দ্রুত বদলে যায়। তাই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট শিক্ষাকেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত করতে হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট সম্পদের ডিজিটায়নের জন্য স্কুল, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ, শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন মহলের যৌথ প্রচেষ্টা দরকার। এভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ডিজিটায়নের বহুমুখী ও ইতিবাচক উন্নয়ন সম্ভব।

ডিজিটায়নকৃত শিক্ষাসম্পদ কেবল পড়াশোনার বিষয় সমৃদ্ধ করে না, বরং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতেও সক্ষম। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে জড়িত শিক্ষাসম্পদের মানও আধুনিক প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির সাথে পাল্লা দিয়ে উন্নত করতে হবে। আরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে এর সাথে জড়িত করতে হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে সাধারণ মানুষের দূরত্ব কমানো জরুরি। চীনের হুয়াতুং নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছুই ইয়ুন হুও বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সবচেয়ে বড় সমস্যা শিক্ষকরা সঠিক পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয় পড়াতে পারেন না; শিক্ষার্থীরা ভুল পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিখছে। যদি পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার বিষয় বিশ্বাস না-করে বা রসায়নের শিক্ষার্থীরা পেশাদার জ্ঞানের অভাবে ভোগে, অথবা জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা জীবন সম্পর্কে সঠিক চেতনা অর্জন না-করে, তাহলে তাদের পড়াশোনার ফলাফল অবশ্যই ভালো হবে না। তাই, ডিজিটাল শিক্ষাসম্পদের সুবিধা কাজে লাগিয়ে, সংশ্লিষ্ট সবাইকে শিক্ষার বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে। অনেকে বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার সাথে বাস্তব জীবনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে, বাস্তবতা হচ্ছে, উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার সাথে সাধারণ মানুষের জীবনের দূরত্ব অনেক বেশি। তাই বিমূর্ত জ্ঞান অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বিরক্তিকর আর অবোধগম্য বিষয়। এ অবস্থায় শিক্ষকরা যদি সংশ্লিষ্ট ক্লাসে ছবি, নমুনা, ভিডিও বা অডিও ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান ও তত্ত্ব শেখান, তবে শিক্ষার্থীদের জন্য তা বুঝতে অনেকটা সহজ হতে পারে। যেমন, জীববিজ্ঞান তত্ত্ব ব্যাখ্যা করার সময় ভিআর প্রযুক্তিতে কোষের গঠনের ৩ডি নমুনা টেবিলে অভিক্ষেপ করা যেতে পারে। এভাবে বিভিন্ন কোণ ও দিক থেকে কোষ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn