বিদেশে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে প্রবাসী চীনাদের প্রয়াস
গত কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়ায় আসা ভ্রমণকারীদের মধ্যে চীনা পর্যটকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। গত কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশ স্থানীয় পর্যটন শিল্পকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতি উন্নয়নের চেষ্টা করছে এবং চীনের সাথে সংশ্লিষ্ট খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। দু’পক্ষের যৌথ প্রয়াসে ইন্দোনেশিয়ায় আরও বেশি পর্যটন খাতের দক্ষ ব্যক্তি প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। এর উদ্দেশ্য, আরও বেশি চীনা পর্যটককে আকর্ষণ করা।
২০১৯ সালে লিমিং (ইন্দোনেশিয়া) একাডেমি জাকার্তার চীনা ভাষা শেখা প্রতিষ্ঠানে শাখা অফিস স্থাপন করে এবং জনাব ছাই একাডেমির বিদেশি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। তখন পাপুয়া প্রদেশের সরকার, জাকার্তা চীনা ভাষা শেখা প্রতিষ্ঠান এবং লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘চীনা ভাষা প্লাস পর্যটন ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘চীনা ভাষা প্লাস বিজ্ঞাপন ডিজাইন’-সহ পেশাদার প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে।
বস্তুত বৈশিষ্ট্যময় কারিগরি শিক্ষাকে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে চীনের ফুচিয়ান প্রদেশ। ২০২১ সালে কারিগরি স্কুল ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগসংলগ্ন দেশ ও অঞ্চলে শাখা স্কুল নির্মাণের পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। এ সম্পর্কে লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিনিময় কেন্দ্রের প্রধান লিন ইয়াং বলেন, বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী চীনারা চীনের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা বিনিময়ের সহযোগী। প্রবাসী চীনারা স্থানীয় অঞ্চলের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ভালো জানেন এবং চীনের স্কুলের উপযোগী শিক্ষক ও শিক্ষাসম্পদ পাঠিয়ে দিতে সাহায্য করেন। এভাবে বিদেশে কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।
মালিয়েশিয়ার চিনচিয়াং কমিউনিটি ফেডারেশন এবং চীনের কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতার সাথে ফেডারেশনের প্রধানের চীন সফরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৫ সালে ফেডারেশনের প্রধান হুয়াং তুং হাই ৫২ জন কিশোর-কিশোরী নিয়ে চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের চিনচিয়াং শহরে শীতকালীন ক্যাম্পে যোগ দেন। তখন এ শীতকালীন ক্যাম্পের প্রধান আয়োজক ছিল ছুয়ানচৌ হাল্কা শিল্প কারিগরি একাডেমি। একাডেমি পরিদর্শনের পর এখানকার সমৃদ্ধ কারিগরি দক্ষতার প্রশিক্ষণ কোর্স হুয়াংয়ের মনে গভীর দাগ কাটে।