বিদেশে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে প্রবাসী চীনাদের প্রয়াস
চীনের ফুচিয়ান প্রদেশ ছিল প্রাচীনকালে সামুদ্রিক রেশমপথের আরম্ভবিন্দু। তাই, অতীতে বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী চীনাদের মধ্যে অনেকের জন্মস্থান ফুচিয়ান প্রদেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় কারিগরি শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে, প্রবাসী চীনারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা বিবেচনা করে, সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে; যৌথভাবে চীনের কারিগরি শিক্ষার প্রাধান্য ও প্রতিযোগিতা-শক্তি উন্নত করেছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা সংবাদদাতার সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে, বিভিন্ন দেশে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে চীনের সহযোগিতার কিছু প্রকল্প নিয়ে কথা বলব।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চীনা ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠান চীনের ফুচিয়ান লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ইন্দোনেশিয়ার এ কারিগরি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী চেয়ারম্যান ছাই ছাং চিয়ের পূর্বপুরুষ চীনের হাইনান প্রদেশের, যিনি ১৯৪৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ছোটবেলা থেকে চীনা ভাষা শিখতে শুরু করেন। ২০০০ সালে স্থানীয় বন্ধুদের সাথে যৌথভাবে জাকার্তা চীনা ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তিনি এবং টানা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইন্দোনেশিয়ায় চীনা ভাষা শেখাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তার প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অবদান রেখেছে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ৫০টিরও বেশি চীনা ভাষার এইচএসকে পরীক্ষাকেন্দ্র চালু আছে।
২০১৯ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠান ফুচিয়ান লিমিং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চীনা ভাষা আদান-প্রদান ও সহযোগিতা কেন্দ্রের সাথে ‘চীনা ব্রিজ’ প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে এবং ইন্দোনেশিয়ায় ‘চীনা ব্রিজ’ প্রকল্পের সাথে জড়িত কর্মীদের চীন সফরে সহায়তা দিয়ে থাকে।