আনহুই প্রদেশের ছুচৌ শহরের সাকুরা ফুল পর্যটন শিল্প
সাকুরা ফুল ফোটাতে চাইলে মাটির অবস্থা, জল নিষ্কাশন প্রযুক্তি, চেরি গাছ বাগানের সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা, সময়মতো লাগানো, কী ধরনের সার দিতে হয় এবং কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নজর রাখতে হয়।
২০১৫ সালের গ্রীষ্মকালে তিনি ১ হেক্টর জমিতে সাকুরা চাষ করেন। তার পকেটে মাত্র ৩২ ইউয়ান বাকি থাকে। তখন তাঁর সবচেয়ে কষ্টকর অভাবের সময় গেছে। সেই সময় তিনি ভাবেন যে, যদি এবার সফল না হন, তাহলে অস্থায়ী চাকরি করে জীবনযাপনের খরচ নির্বাহ করতে হবে। তবে সেই সময় হুপেই প্রদেশের একজন ব্যবসায়ী তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার ইউয়ানের সাকুরা চারা কেনেন এবং এ টাকা দিয়ে তিনি ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে সেই বছরের শরতকাল পর্যন্ত সাকুরা বাগানের সব ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম হন।
পরে, চেচিয়াং প্রদেশের কৃষি ও বন বিশেষজ্ঞরা সি চিয়া পেংয়ের সাকুরা বাগান পরিদর্শন করেন। তারা মনে করেন, তার সাকুরা গাছের মান বেশ ভালো এবং ১ লাখ ৬০ হাজার ইউয়ান দিয়ে সি’র কাছ থেকে সাকুরা চারা কেনেন। টাকা পেয়ে তিনি আরও ৬ হেক্টরে সাকুরার চাষ করেন। টানা ৩ বছরের প্রচেষ্টায় অবশেষে সাফল্যের আলো দেখতে পান সি।
এদিকে তার বড় ভাই জন্মস্থানে ফিরে আসেন এবং দু’জন একসাথে সাকুরা চাষ শুরু করেন। যদিও অন্যদের দৃষ্টিতে সি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, কিন্তু প্রতিদিন শুধু সাকুরা গাছ চাষ করার জন্য ঘাম ঝরান; দিনে কমপক্ষে ১০ ঘন্টার মতো কাজ করে থাকেন তিনি। অনেকের কাছে তা বোকামি। তবে সি বলেন, সাকুরা গাছ চাষাবাদ তার জন্য বেশ আকর্ষণীয় ব্যাপার, প্রতিদিন নতুন সাফল্য তাকে উত্সাহিত করে।
নতুন ধরনের সাকুরা গাছ উদ্ভাবনের চেষ্টাও করেন তারা। তবে সাকুরা গাছের সংকরায়ন কাজ বেশ কঠিন। ১০ হাজার সাকুরা গাছের সংকরায়ন হলে কেবলমাত্র কয়েকটি গাছ উন্নত ধরনের হয়। এটি চাষাবাদের প্রযুক্তির সাথে জড়িত আর ভাগ্যেরও একটা ব্যাপার রয়েছে। প্রত্যেক ধরনের সাকুরার রঙ, আকার, ফুল ফোটার সময় এবং গাছের আকার ভিন্ন। সি’র বাগানে গোলাপী ও হাল্কা গোলাপী সাকুরা বেশি দেখা যায়। চীনারা এ ধরনের সাকুরা বেশি পছন্দ করে এবং এ ধরনের সাকুরা চীনের আবহাওয়া ও মাটির সাথে বেশ খাপ খেয়ে যায়।