বাংলা

আনহুই প্রদেশের ছুচৌ শহরের সাকুরা ফুল পর্যটন শিল্প

CMGPublished: 2024-04-15 16:17:39
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এ পর্যন্ত মালিক সি’র প্রচেষ্টায় তাঁর বাগানে নিজের উদ্ভাবিত ৬ ধরনের সাকুরা গাছ রয়েছে এবং তাঁর সাকুরা গাছ চীনের জাতীয় বন ও তৃণভূমি ব্যুরোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘রুশান’ নামের সাকুরা গাছ ৮ বছর ধরে সংকরায়ন করা হয়। সাধারণত সাকুরা গাছের উচ্চতা ৫ থেকে ৬ মিটার উঁচু, তবে ‘রুশান’ সাকুরা গাছের উচ্চতা ৩০ মিটারেরও বেশি, তাই নাম রাখা হয় ‘রুশান’, চীনা ভাষায় এর অর্থ পাহাড়ের মতো উঁচু।

‘থাংইয়ুন’ নামের সাকুরা গাছ ১০ বছর ধরে সংকরায়ন করা হয়। সাধারণত সাকুরার ফুলের আকার ছোট, তবে ‘থাংইয়ুন’ সাকুরার ফুল গোলাকৃতির এবং বেশ বড়। আর ‘হানফেং’ নামের সাকুরা ফুল প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ফোটে। অন্য সাকুরা ফুলের চেয়ে প্রায় এক মাস আগে ফোটে এটি।

সাকুরা চাষ করার জন্য মালিক সি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর মতো স্নাতক হওয়ার পর জন্মস্থানে ফিরে কৃষি কাজ করা যুবকের সংখ্যা খুবই কম। তবে, তিনি নিজের প্রচেষ্টায় জন্মস্থানে সাকুরা বাগান শিল্পের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন এবং স্থানীয় সরকারের সহায়তায় এখন তার সাকুরা বাগান ছুচৌ এলাকার সুবিখ্যাত দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।

সি’র সাকুরা বাগান বড় হওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় কৃষকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা কর্মী হিসেবে সি’র সাথে সাকুরা গাছ লাগান এবং পরিচর্যা করেন। প্রতিবছর বাগানের কর্মীদের বেতন ১০ লাখ ইউয়ানেরও বেশি। তা ছাড়া, সি চিয়া পিং বিশেষজ্ঞ হিসেবে অন্য বাগানের চাষাবাদে প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেন।

যদিও সাকুরা বাগানের আয় এখন দিন দিন বাড়ছে এবং সাকুরা চারা বিক্রি থেকেও একটা ভালো আয় হয়, তবে মালিক সির জীবন বেশ সরল। তিনি পুরনো কাপড় পরেই কৃষিকাজ করেন।

প্রতিবছর যখন সাকুরা ফুল ফোটে, তখন সি’র সবচেয়ে ব্যস্ত সময় এবং গর্বেরও সময়। কারণ, তার পরিশ্রম বিভিন্ন এলাকার পর্যটকদের প্রশংসা ও স্বীকৃতি পেয়েছে, এটি তাঁর জন্য আনন্দের।

ভবিষ্যতে নিজের সংকরায়নকৃত সাকুরা গাছ আরও বেশি দেশে চাষ হবে বলে আশা করেন সি চিয়া পেং, এতে আরো বেশি দেশের নাগরিক সাকুরা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn