নৈতিক ক্লাস: চীনা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উন্নয়ন ও মূল্যবোধ গঠনে সহায়ক
এ উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মো থাং ইয়ু মনে করেন, গ্রামাঞ্চলের পুনরুজ্জীবনের সাফল্য তার মনের ওপর গভীর ছাপ ফেলেছে। ক্লাসের সহপাঠীদের সাথে মেংশান জেলার সিনস্যু উপজেলার বাথৌ গ্রাম আর তামিং গ্রামসহ কয়েকটি জায়গায় ফিল্ড জরিপ করেছে ছাত্রী মো। গ্রামের বুদ্ধিমান খামার পরিদর্শন করার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে পেরেছে যে, গ্রামীণ পর্যটন কীভাবে কৃষকদের জন্য আর্থিক আয়ের পথ খুলে দিয়েছে এবং গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের নতুন সাফল্য ও শিল্প চেইনের আর্থিক মুনাফা সবই দেখেছে তারা। চীনা গ্রামের উন্নয়নে স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণে তারা বাস্তব অনুভূতি পেয়েছে।
বস্তুত, বিভিন্ন নৈতিক ক্লাসে ভালো করে পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষকদের প্রচেষ্টার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই শিক্ষকদের মধ্যে এ ক্লাসের মান উন্নীত করার চেতনা গঠন করা এবং এ ক্লাসের গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। উচৌ শহরের বিভিন্ন স্কুলের প্রেসিডেন্ট ও সিপিসি’র সম্পাদক সর্বপ্রথমে ‘নৈতিক ক্লাসের শিক্ষকতার কাজ করে থাকেন, ধারাবাহিক পদক্ষেপ নেওয়ার পর নৈতিক ক্লাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন স্কুলের নৈতিক ক্লাসের মান উন্নয়নে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ক্লাস চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা প্রতিযোগিতা করে নৈতিক ক্লাসের মান উন্নীত করতে চেষ্টা করেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্থানীয় প্রাথমিক স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত মোট ৬টি বড় আকারের নৈতিক ক্লাস প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
কিছু কিছু এলাকার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের নৈতিক ক্লাসের শিক্ষকের অভাব রয়েছে এবং তাদের শিক্ষাদানের মানও দুর্বল। তাই বিভিন্ন ভালো স্কুল থেকে সেরা শিক্ষকদের বেছে নেওয়া হয়েছে, তারা অন্যান্য স্কুলে গিয়ে নিজের নৈতিক ক্লাসের অভিজ্ঞতা ও কর্মপদ্ধতি বিনিময় করেন। এভাবে সবার যৌথ প্রয়াসে বিভিন্ন স্কুলের নৈতিক ক্লাসের মান উন্নীত করা সম্ভব।