চীনের প্রাথমিক ও মাধ্যমকি স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিভিন্ন এলাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের শিক্ষাদানের বার্ষিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করেছে এবং ধীরে ধীরে শিক্ষকদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে। এভাবে চীনা শিক্ষকদের গুণগতমান আরো উন্নত করা যায় এবং শিক্ষকতার মানও উন্নীত করা যায়। এ সম্পর্কে চীনের নেটিজনরা মনে করেন, বিস্তারিত ও কঠোর মূল্যায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষকদের কাজের মান ও নিবেদিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়, বিশেষ করে চীন সরকার শিক্ষকদের মাসিক বেতন ও ভর্তুকি বাড়িয়ে দেওয়ার পর এমন উদ্যোগ অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু শিক্ষক মনে করেন, এখন স্কুলের শিক্ষকদের কাজের পরিমাণ অতীতকালের চেয়ে অনেক বেড়েছে এবং এখন তাদের কাজের চাপ অনেক বেশি।
বস্তুত ‘চীনের দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষাদানের সংস্কার ও উন্নন কর্মপরিকল্পনা ২০১০-২০২০’এ বলা হয়েছে, চীনের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষকদের প্রশাসনিক কাজের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং অদক্ষ শিক্ষকদের প্রত্যাহার করা জরুরি। ২০১৮ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রকাশিত নতুন যুগে চীনা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সংস্কার পরামর্শে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের যোগ্যতার নিয়মিত নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। অযোগ্যদের প্রত্যাহার চীনা শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা ও প্রাণশক্তির উন্নয়নে সহায়ক।
তাহলে, কেন শিক্ষকদের প্রত্যাহার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, এ ব্যবস্থার বাস্তবায়নে কী কী মানদণ্ড নির্ধারণ করা প্রয়োজন? এ ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিতে আর কী কী সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার?
আজকের অনুষ্ঠানে এ বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা করবো।
গত কয়েক বছরে চীন সরকার শিক্ষাখাতে ব্যাপক সংস্কার চালু করেছে এবং শিক্ষাদানের মান উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষকদের বেতনের ব্যবধান কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়ছে। বিশেষ করে স্বল্পোন্নত এলাকায় শিক্ষকদের বেতন ও ভর্তুকি বাড়িয়ে দিতে সুবিধাজনক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকদের পদোন্নতিতে যাচাই মানদণ্ড ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।