চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শকদের গল্প
বেইজিং চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি মানসিক সমস্যা ও বিভ্রান্তি মোকাবিলার রুম রয়েছে। এর নাম ‘থিয়ান ইয়ো বিকেল চা রুম’। তারা নিয়মিতভাবে চীনের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের আমন্ত্রণ জানায়, তাদের বড় হওয়ার গল্প ও সম্মুখীন সমস্যার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে অনুরোধ করে।
এ সম্পর্কে পরামর্শক ওয়াং সিন ই বলেন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিজেদের প্রিয় কাজ খুঁজে পাওয়া এবং নির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে যাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শখ, মূল্যবোধ, দক্ষতা ও চরিত্র এ চার দিক থেকে ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নের সম্ভাবনা বিবেচনা করেন তিনি। তাঁর দৃষ্টিতে অনেক ছাত্রছাত্রী কাওখাও পরীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেজর বেছে নেওয়ার সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ফলে তারা বিভ্রান্ত হয়।
তাই এমন অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সহনশীলতা ও দৃঢ়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, একবার একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফলাফলের কারণে দুঃখ পায়। তার দৃষ্টিতে পরীক্ষার ফলাফল ভালো নয়, বাবা-মাকে সরি বলা উচিত। কারণ, সে আরো ভালো করে বেশি টাকা উপার্জন করে বাবা-মার ঋণ শোধ করতে চেয়েছিল। তার কথা শুনে শিক্ষক ওয়াং অবাক হন। কারণ, এ ছাত্র শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ তার নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। আত্মবিশ্বাস ও ভালো চাকরির মানদন্ড এবং মানুষের জীবনের তাত্পর্য সম্পর্কেও তার সঠিক ধারণা নেই। তাই পরামর্শক হিসেবে তাদের উপযোগী ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া জরুরি।
চীনের হারবিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শক লিউ থিয়ে বলেন, স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মজীবনের পরিকল্পনা প্রণয়ন নিয়ে একটি ক্লাস নেন তিনি। তাতে চাকরির সাক্ষাত্কারের পদ্ধতি ও উপযোগী চাকরি খুঁজে পাওয়ার পদ্ধতি এবং সিভি রচনার টিপসসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। তবে অনেক ছাত্রছাত্রী এ ক্লাসের ওপর গুরুত্ব দেয় না। তারা মোবাইল ফোনে গেমস খেলে বা হোমওয়ার্ক করে। মনোযোগ দিয়ে তার ক্লাস শুনতে চায় না। তাই ছাত্রছাত্রীদের জন্য পরামর্শ দেওয়া এবং তাদের মনোযোগ দিয়ে পরামর্শকের কথা শোনার পদ্ধতি নিয়ে আরো গবেষণা করতে হবে।