চীনের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিদর্শন-চাহিদা বনাম পড়াশোনার পরিবেশ
সম্প্রতি চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে কি না, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলে। অনেক পর্যটক ও পরিদর্শক বলছেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ ও পরিদর্শনের নিয়ম আলাদা, তাই সাধারণ মানুষের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন সহজ ব্যাপার নয়। বেইজিং, কুয়াংতুং এবং ছোংছিংসহ কয়েকটি বড় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে খোঁজ-খবর নেওয়ার পর সংবাদদাতা খেয়াল করেন যে, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শুধু স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিদর্শনের ব্যবস্থা রেখেছে, সাধারণ দর্শকরা সেখানে যেতে পারেন না। পরিদর্শনের আবেদন জমা দেওয়ার পর অনুমোদন কোডের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
বেইজিংয়ের বাসিন্দা ম্যাডাম লিউ বলেন, তার বাড়ির কাছে কয়েকটি শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গত কয়েক বছরে মহামারীর কারণে ক্যাম্পাসে ঢোকা যেতো না। তাই, বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা অনেক কমে যায়। এখন মহামারি নেই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত যত দ্রুত সম্ভব ক্যাম্পাস আবারও সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া।
কুয়াংচৌয়ের বাসিন্দা জনাব হুয়াং ছুটির দিনে বাচ্চাকে নিয়ে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন এবং ভ্রমণকালে সংশ্লিষ্ট শহরের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করা তাঁর শখ। বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের পাবলিক আকাউন্ট চালু করেছে। ভাগ্য ভালো থাকলে, যাওয়ার একদিন আগে পরিদর্শনের জন্য বুকিং করাও সম্ভব। তবে, কোনো কোনো শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে সবসময় ভীড় থাকে। পরিদর্শকদের জন্য নির্দিষ্ট তারিখে যাওয়া সহজ ব্যাপার নয়।
চীনের পিপলস বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় উন্নয়ন ও কৌশল গবেষণাগারের গবেষক অধ্যাপক মা লিয়াং বলেন, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ‘সীমিত’ আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বস্তুত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের জন্য পরিদর্শনকাজ চালু করা নতুন ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিদর্শকদের অনুমতি দিতে হয়। ফলে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাজ বেড়েছে।