চীনে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাসনদের গুরুত্ব
সম্প্রতি চায়না ইউথ পত্রিকা সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ওপর একটি জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশেরও বেশি মনে করেন, কর্মসংস্থান বাজারে এইচআর বিভাগ অনার্স স্নাতকপত্রের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়। উচ্চবিদ্যালয়ে বা কাওখাও পরীক্ষায় ভালো স্কোর না পাওয়ার কারণে, অনেকে শুধু প্রাদেশিক পর্যায়ের সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন। তারা যদি ভালো চাকরি পেতে চান, তাহলে আরও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। ফলে, তাদের মধ্যে অনেকে অনার্স স্নাতক হওয়ার পর ভালো রাঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে পড়ার জন্য প্রচেষ্টা চালান।
লিন ছি প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র। তার কলেজের অনেক ছাত্রছাত্রী স্নাতক হওয়ার পর কারখানায় প্রযুক্তিকর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তবে সেটি সাধারণ কর্মকর্তাদের কাজের চেয়ে বেশি ক্লান্তিকর। তাই সে অন্য একটি ভালো রাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিয়ে, মাস্টার্স পড়তে শুরু করে। তার দৃষ্টিতে এখান থেকে স্নাতক হওয়ার পর যদি ভালো স্কোর থাকে, তাহলে গবেষণাগারে চাকরি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কোনো কোনো চীনা পণ্ডিত মনে করেন, যারা শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স কোর্স করেছে, তারা চমত্কার শিক্ষক ও বিজ্ঞান-গবেষণার ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছে। আর এ কারণেই তারা সমাজের প্রয়োজনীয় দক্ষ ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারে।
ছেলে লিন ছি নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলে, অনার্সে পড়ার সময় একটি ভালো কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ পাওয়াও কঠিন। প্রত্যেকবার এইচআর বিভাগের কর্মীরা তাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার বিশ্ববিদ্যালয় অন্য শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে দুর্বল। কেন আমরা তোমাকে বেছে নিবো?
যদিও ছেলে লিন ছি মনে করে যে, তার পেশাদার দক্ষতা মোটামুটি ভালো, তবে আরও ভালো চাকরি পেতে চাইলে তাকে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হতে হবে। একটি জরিপ থেকে জানা গেছে, যারা সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স স্নাতক হয়েছেন, তাদের উচ্চশিক্ষা তথা মাস্টার্সে পড়ার সময় এক থেকে দেড় বছর বেড়ে যায়। তবে শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স মেজরে ভর্তি হওয়াও সহজ ব্যাপার নয়।
