ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নতুন পদক্ষেপ
বর্তমানে ইন্টারনেটে জ্ঞান প্রচার হচ্ছে সীমাহীন। অনলাইনে অনেক শ্রেষ্ঠ ও বিনা খরচের শিক্ষা কোর্স পাওয়া যায়। বর্তমানে শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত রেকর্ড ব্যবস্থায় মোট ৪৩০টি ক্লাসের বিষয় রেকর্ডিং করা হয়। শিক্ষার্থীরা এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ক্লাসের ভিডিওর রিপ্লে দেখতে পারে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে মোট ২.৫ লাখ ঘন্টার ভিডিও প্রচার করা হয়েছে, যার দৈনিক ভিউ ৩৩৩৩ পার্সনটাইমস। অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসের ভিডিও দেখার পর নিজের মন্তব্য রাখেন। ভিডিও-র কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ও কার্যকারিতা বেড়েছে। ধীরে ধীরে ক্লাসের রেকর্ডকৃত ভিডিও শিক্ষার্থীদের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
কোনো কোনো শিক্ষক অনলাইন ক্লাসের ভিডিও নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, কোভিড মহামারী শেষ হয়েছে, এখন ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসে ক্লাসে বসে লেখাপড়া করতে পারে। যদি সবসময় অনলাইন ক্লাসের ভিডিও দেখে, তাহলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসরুমে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এ সম্পর্কে শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি জরিপ চালানো হয়। ৬০০ জন ছাত্রছাত্রী এ জরিপে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ মনে করে, শুধু শরীর অসুস্থ বা জরুরি কাজ থাকার সময় ভিডিও ক্লাসে যোগ দেওয়া যেতে পারে। কেবল ৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অনলাইন আর অফলাইনের ক্লাসের পার্থক্য অনুভব করে না। তাদের ভিডিও ক্লাসের প্রতি আগ্রহ বেশি; তারা ক্লাসরুমে আসতে চায় না।
বুদ্ধিমান যুগে ভিডিও বা লাইভ ক্লাসের কারণে শিক্ষকদের পড়ানোর পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা জরুরি। কারণ, ঐতিহ্যিক পদ্ধতিতে জ্ঞান দিলে নেটিজেন শিক্ষার্থীদের কোনো মজা পাবে না। এমন ক্লাস তাদের আকর্ষণ করতে পারে না। তাই নতুন যুগের পরিবর্তনের চাহিদা মেটাতে, কেবল ক্যাম্পাসের পরিবেশ, সরঞ্জামে পরিবর্তন নয়, বরং শিক্ষকদের পড়ানোর পদ্ধতি ও ছাত্রছাত্রীদের সাথে যোগাযোগের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে।