ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নতুন পদক্ষেপ
২০১৭ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের উদ্যোগে ‘নতুন যুগে এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন পরিকল্পনা’ প্রকাশিত হয়। এতে বুদ্ধিমান শিক্ষাদান প্রক্রিয়া, এআই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে পেশাদার ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণকাজে গতি আনা, এবং শিক্ষাপদ্ধতির সংস্কার করে এআই-ভিত্তিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়।
এআই প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের ফলে উচ্চশিক্ষাও আগের চেয়ে আরও বেশি চ্যালেঞ্জ আর সুযোগের সম্মুখীন হয়েছে। কিভাবে নতুন এআই যুগের পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাওয়ানো যায় এবং ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় শিক্ষার মান আরও উন্নত করা যায়? এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। আজকের বিদ্যাবার্তায় আমরা চীনের সংশ্লিষ্ট খাতের দক্ষ পণ্ডিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাক্ষাত্কার থেকে পাওয়া কিছু সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরব।
শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ও কর্মীদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে পারে এবং স্মার্ট ক্লাসরুম আর ডিজিটাল শিক্ষার প্ল্যাটফর্মসহ বিভিন্ন ডিজিটাল এপিপি উন্নয়ন করেছে। ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল শিক্ষার নতুন পদ্ধতিতে অনলাইন ক্লাস, ডিজিটাল গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
চীনের ক্রমবর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাপক অর্থ ও সম্পদ বরাদ্দ করে ক্যাম্পাসে বুদ্ধিমান অবকাঠামো গড়ে তুলেছে; বুদ্ধিমান ক্লাসরুম, পরীক্ষাগার ও গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন সুবিধাজনক ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুবিধা ও কল্যাণ বয়ে এনেছে।
সংবাদদাতা সাক্ষাত্কার নেওয়ার সময় খেয়াল করেন যে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যায়ন প্রক্রিয়া দ্রুত উন্নত হচ্ছে। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হারানো ও প্রাপ্তি বা লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড এপিপি চালু করা জরুরি, যাতে ক্যাম্পাসে হারানো জিনিস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর পর কম সময়ের মধ্যে সেই এপিপি চালু হয়। তথ্য নিবন্ধন, প্ল্যাটফর্ম পর্যালোচনা, হারানো এপিপি চালুর ২ সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৬ শিক্ষার্থীর হারানো জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়।