ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নতুন পদক্ষেপ
চীনের জিওসায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উহান ক্যাম্পাসে একটি ভিজ্যুয়াল পোর্টাল চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্মার্ট সহকারী সরঞ্জামের সাথে ধারাবাহিক কথাবার্তা বলতে পারেন।শিক্ষার্থী হলের দরজার তালা নষ্ট হলে, সংশ্লিষ্ট মেরামত এপিপি দেয় স্মার্ট সাহায্য। এ ভিজ্যুয়াল পোর্টাল বিভিন্ন ধরনের অনলাইন অনুষ্ঠান বা প্রতিযোগিতার আয়োজনে সহায়তা দিতেও সক্ষম। যেমন, বিভিন্ন সেমিনার বা প্রতিযোগিতার আয়োজনের সময় ও অবস্থানের তথ্য দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন ব্যবস্থা ও সাইন ইন করা যায় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পোস্টার তৈরি করা যায়।
সি’আন ইলেকট্রনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমানে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বুদ্ধিমান কমিউনিটি স্থাপন করা হয়েছে। বিগ ডেটার বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও সমস্যা এখন আরও ভালোভাবে বোঝা যায় এবং তাদেরকে সংশ্লিষ্ট পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষাদান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য। ঐতিহ্যিক শিক্ষাপদ্ধতি ও বিষয় এখন আর সামাজিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়। তাই, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল বুদ্ধিমান যুগের পরিবর্তনে অভ্যস্ত হয়ে পেশাদার ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণপদ্ধতি উন্নত করতে চেষ্টা করছে।
শাংহাই চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের পরিচালক শেন হং সিং বলেন, ডিজিটাল যুগে নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা অধিকাংশই ইন্টারনেট থেকে জ্ঞান অর্জন করে, ক্লাসরুম কেবল তাদের জ্ঞানের ক্ষুদ্রাংশ সরবরাহ করে। ইন্টারনেট, স্কুলের বাইরের প্রশিক্ষণ প্রকল্প, বিভিন্ন ইন্টারশিপের সুযোগ, এআই মডেল, এবং পিলিপিলি এপিপি, ইত্যাদি ঐতিহ্যিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এ বিষয়টি ভালো করে বিবেচনা করতে হবে।