বাংলা

গ্রীষ্মের ছুটিতে চীনের বিভিন্ন জাদুঘরে কিশোর-কিশোরীরা

CMGPublished: 2023-08-14 15:01:48
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জাদুঘর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টিকারী সেতুর মতো। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ হাজার বছরের ইতিহাসের প্রতিফলন। চেচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাগারের প্রধান লিন লিউ মনে করেন, জাদুঘরের জনপ্রিয়তার মূল কারণ চীনাদের সাথে ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির গভীর সম্পর্ক। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের কারণে চীনের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যিক সভ্যতার পুনরুত্থানের স্বাক্ষী হয়েছেন লোকেরা এবং আরো বেশি চীনা জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে চীনা সভ্যতার আমেজ অনুভব করতে চাচ্ছেন। চীনা জাতির সৃজনশীলতার সুন্দর প্রতিফলন এটি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের ফলে, বিভিন্ন জাদুঘরের সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ নিয়ে গবেষণাও বেড়েছে এবং এ সম্পর্কে গবেষণার ধরণ ও বিষয়ও বাড়ছে। চীনারা এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।

চলতি বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি কোভিড মহামারীর পর প্রথম লম্বা ছুটি। ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটা অতি গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রছাত্রীদের গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পের কর্মসূচিতে জাদুঘর পরিদর্শন একটি স্বাভাবিক বিষয়। এ সম্পর্কে সি’আন পাথর স্টেলস জাদুঘরের পর্যটক গাইড চাং লিন বলেন, এপ্রিল মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত তিনি বুকড হয়ে আছেন।

লিয়াওনিং প্রদেশের জাতীয় জাদুঘরের উপপ্রধান তং পাও হৌ গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে দৈনিক পরিদর্শকের সংখ্যা বিশ্লেষণ করেন। এ সময় বাচ্চাদের সংখ্যা অনেক বেশি। মোট দর্শকের ৩০ শতাংশেরও বেশি হচ্ছে শিশু-কিশোর। তাঁরা পরিবার বা স্কুলের শিক্ষকদের সাথে জাদুঘরে আসে। এখানে বিভিন্ন প্রদর্শনীর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় শিশু-কিশোরদের চাহিদার কথা মাথায় রাখা হয়।

হ্যনান জাদুঘরে নব্যপ্রস্তরীয় যুগের হাড়ের বাঁশ, খ্রিষ্টপূর্ব ৭৭০ সালের ব্রোঞ্জ চিমসহ বিভিন্ন শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ প্রদর্শন করা হয়। জাদুঘরের সংগীত হলে প্রাচীনকালের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের শব্দ ও আওয়াজ উপভোগ করা যায়। এ সংগীত হলে সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের নমুনা অনুসারে নতুন বাদ্যযন্ত্র কপি করা হয়। এটা কেবল প্রাচীন সংগীত বাজাতে পারে তা নয়, বরং তা দিয়ে আধুনিক সুরও বাজানো যায়।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn