গ্রীষ্মের ছুটিতে চীনের বিভিন্ন জাদুঘরে কিশোর-কিশোরীরা
চীনের হ্যপেই প্রদেশের তিংচৌ জাদুঘরের সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের মোট সংখ্যা ৫০ হাজারটিরও বেশি। জুলাই মাসে এখানে পরিদর্শকের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার পার্সনটাইমস, যা ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে ১৮৬ শতাংশ বেশি।
চীনের শানতোং জাদুঘরের প্রধান লিউ ইয়ান ছাং মনে করেন, এখন জাদুঘরের প্রতি আকর্ষণ একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। জুলাই মাসের সাপ্তাহিক ছুটিতে তাদের জাদুঘরে দর্শকের সংখ্যা ২০ হাজার জনেরও বেশি ছিল, যা গত কয়েক মাসের চেয়ে অনেক বেশি। লিউ বলেন, দর্শকদের চাহিদা মেটাতে তাদের জাদুঘরের দক্ষ কর্মীরা পালাক্রমিকভাবে বিভিন্ন প্রদর্শনী হলে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন এবং প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সকালে জাদুঘরের একজন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বক্তৃতাস্থলে উপস্থিত থাকেন। পরে তাঁরা ‘জাদুঘর রাত’ বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। এভাবে ছুটির দিনে আরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে আকর্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। জাদুঘরের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন জাদুঘরের সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল পণ্য শিল্পের উন্নয়নও দ্রুত উন্নত হচ্ছে।
এবারের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে নানচিং জাদুঘর ১০ ধরনের বিশেষ পণ্য তৈরি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জাদুঘরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের ছবি বা ডিজাইনসহ নোটবুক, জাদুঘরের সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ আকারের ধাতুর বুকমার্ক। প্রতিদিন এসব পণ্য প্রচুর বিক্রিও হচ্ছে।
সংবাদদাতাদের জরিপ থেকে জানা গেছে, জাদুঘরের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি একটি সাময়িক ব্যাপার নয়, বরং বিভিন্ন ফ্যাক্টরের প্রভাবে সৃষ্ট ফলাফল। প্রথমত, চীনাদের ঐতিহ্যিক সভ্যতার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। জীবনমান উন্নয়নের সাথে সাথে সাংস্কৃতিক বিনোদনের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
চীনের শানতোং প্রদেশের চিনান শহরের একজন শহরবাসী ইয়ু শাও জিং বলেন, তিনি সাংস্কৃতিক মেলা ও প্রদর্শনীর অনুরাগী। বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের সময় স্থানীয় জাদুঘর তাঁর জন্য বেশ আকর্ষণীয় একটি স্থান। জাদুঘরে দাঁড়িয়ে অতীতের লোকদের বাস্তব জীবনকে অনুভব করা যায়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ ও পুরাকীর্তির মাধ্যমে বাস্তব চিন্তাভাবনা ও প্রাচীনকালে লোকদের চেতনা উপলব্ধি করা যায়। মানবজাতির উত্স নিয়ে অনেক কৌতুহল রয়েছে ইয়ুর। তাই তিনি কয়েক হাজার বছরের আগের তথা প্রাচীনকালের শাং আর চৌ আমলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ প্রদর্শনী দেখতে বেশি পছন্দ করেন।