রেশমপথের ঐতিহ্য পূর্ব ও পশ্চিমের সভ্যতার মিলনের সাক্ষী
আফগানিস্তানের সাধারণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার কারণে আফগানিস্তানে প্রত্নসামগ্রীর নিবন্ধন ও সুরক্ষা ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। আফগান জাতীয় যাদুঘরের পরিচালক বলেন যে, আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে, পুরাকীর্তি নিবন্ধনের জন্য অন্য প্রদেশে ভ্রমণ করা প্রায় অসম্ভব এবং অনিবন্ধিত প্রত্নসামগ্রী ধ্বংস ও পাচারের ঝুঁকি অনেক বেশি। এখন এই সমস্যা প্রতিনিয়ত দূর হয়ে যাচ্ছে।
প্রদর্শনী সম্পাদক আইন দীন সিদাত বলেন,
“সৌভাগ্যের বিষয় হল, আমরা আফগানিস্তানের সব প্রদেশে পুরাকীর্তি রেকর্ড করা শুরু করেছি এবং বিভিন্ন প্রদেশে হাজার হাজার পুরাকীর্তি নিবন্ধিত হয়েছে। এটি ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে।”
আফগান জাতীয় যাদুঘরের পরিচালক বলেন যে, একটি নতুন যাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এবং তিনি যৌথভাবে ঐতিহ্য সুরক্ষা অন্বেষণ করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে সহযোগিতা করার আশা করেন। জনাব আবাদি আফগান ধ্বংসাবশেষ রক্ষায় অব্যাহত সমর্থনের জন্য চীনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন যে, যদি সম্ভব হয়, আফগান ধ্বংসাবশেষের প্রদর্শনী চীনে আয়োজন করা যেতে পারে।
আবাদি বলেন,
“আমি চীন এবং চীনা জনগণকে এই আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আগে চীন আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিল এবং আমাদের দেশ ও যাদুঘরকে সহায়তা দিয়েছিল। আমরা আশা করি, চীনে আমাদের ঐতিহ্য প্রদর্শন করতে পারব।”
আফ্রিকায় চীনা চায়ের সুবাস——চায়ের সুগন্ধে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’-এর গল্প
গত মার্চ মাসে প্রথম ‘হুনান-আফ্রিকা’ চা রপ্তানি ট্রেন হুনান প্রদেশের জু চৌ শহর থেকে রওনা দিয়ে আফ্রিকায় যায়। আফ্রিকা চীনা চায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে উঠেছে। চীনের কাস্টমসের সাধারণ প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে চীনের চা রপ্তানির পরিমাণে শীর্ষ দশটি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ছয়টি আফ্রিকান দেশ রয়েছে।