বাংলা

রেশমপথের ঐতিহ্য পূর্ব ও পশ্চিমের সভ্যতার মিলনের সাক্ষী

CMGPublished: 2023-07-18 14:41:57
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জাসিগাং গ্রামের পর্যটন শিল্প মানুষকে তাদের আয় বাড়াতে উত্সাহিত করে

তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের লিনছি শহরের লুলাং জেলায় অবস্থিত জাসিগাং গ্রাম একটি বিখ্যাত পর্যটন গ্রাম, যা স্থানীয় নীতির কারণে একটি ছোট এবং প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে একটি সুপরিচিত পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। গ্রামবাসীরা হোস্টেল খুলে আরও বেশি টাকা উপার্জন করছে।

সিজিটিএনের সংবাদদাতা সুন সুয়েই ইং সম্প্রতি এই গ্রামে এসেছেন। তিনি বলেন,

আমি এখন বিখ্যাত পর্যটন শহর জাসিগাং গ্রামের এক গ্রামবাসীর বাড়ির উঠানে আছি। যা লিনছি শহরের লুলাং জেলায় অবস্থিত। এটা কল্পনা করা কঠিন যে, এই ধরনের একটি উন্নত পর্যটন গ্রাম একসময় কয়েকটি ঘরের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম ছিল। ২০০০ সালে, জাসিগাং গ্রামের প্রথম আট শয্যার হোস্টেলটি খোলা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, পর্যটন বিভাগের শক্তিশালী সমর্থনে, জাসিগাং গ্রামে গ্রামীণ পর্যটন অনেক সফলভাবে বিকশিত হয়। ২০২১ সালে, গ্রামের ভ্রমণকারী প্রবাহ ২ লাখ ছাড়িয়ে যায় এবং পর্যটন খাতে অর্থনীতি ৯০ মিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি হয়। প্রায় সব পরিবারই পারিবারিক হোস্টেল খুলেছে। গ্রামের ৩১১জন বাসিন্দার মধ্যে ১৬০জন পর্যটন খাতে কাজ করে।"

জাসিগাং গ্রামের গ্রামবাসী সেরিং তাশি(Tsering Tashi) বলেন, “আমি ২০১৬ সালে হোমস্টে ব্যবসা শুরু করি এবং তারপর ২০২১ সালে আমরা এটি পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করি। এখন মোট ৩৩টি বাড়ি রয়েছে। তিন তলার ভবন আছে, তৃতীয় তলায় একটা রেস্টুরেন্ট আছে। গত বছর আমাদের আয় ছিল ৫.৩ লাখ ইউয়ান। হোমস্টে থাকার ব্যবস্থা ছাড়াও, আমি গবাদি পশু পালন করি এবং পাম জিনসেং, কর্ডিসেপস এবং মাতসুতাকের মতো অর্থকরী ফসল চাষ করি। জীবন অনেক ভালো হয়েছে। আগে, আমি শুধু পশুপালন এবং কৃষিকাজ থেকে বছরে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ হাজার ইউয়ান উপার্জন করতাম, কিন্তু এখন আমি কমপক্ষে এক লাখ ইউয়ান আয় করি। এ ছাড়া রাস্তা, স্যানিটেশন- মূলত সব দিকই উন্নত হয়েছে। আগে কাঁচা রাস্তা থাকলেও এখন কংক্রিটের রাস্তা আছে, অনেক সুবিধাজনক। আগে বসবাস করা অস্বস্তিকর, এখন বাড়িতে পানি, রাস্তা ও বিদ্যুত্ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সবকিছু আরো আরামদায়ক। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বাথরুম, ওয়াইফাই এবং ২৪ ঘণ্টা গরম জল রয়েছে। সবকিছু পাওয়া যায়।”

1234...全文 7 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn