চীনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক-শিক্ষার্থীর গ্রামাঞ্চলে কাজ করার গল্প
শিক্ষাবিদ চাং ফু সুও বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাঙ্গণে আসা ৭০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীর সবাই মনোযোগ দিয়ে নিজেদের গবেষণা-কাজ করে থাকে। কেউ আপস করেন না এবং কাজ মাঝপথে ছেড়ে দেয় না। এটা তাঁর জন্য বেশ আনন্দের ব্যাপার। শিক্ষার্থীরা আদর্শ ও দায়িত্ব নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাঙ্গণে তাঁদের প্রিয় গবেষণার কাজ করে। এ কাজ তাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা শিক্ষাবিদ চাংকে বলেন, গ্রামাঞ্চলের অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা অনেক দুর্বল, এখানে কোনো পরিস্কার টয়লেট বা স্নান কক্ষ পাওয়া যাবে না। এটা বড় শহর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা গ্রামীণ জীবনের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়। তাদের মধ্যে অনেকে স্নাতক হওয়ার পর গ্রামে চাকরি নিয়েছেন।
শিক্ষাবিদ চাং যুবশিক্ষার্থীদের গ্রামাঞ্চলের কাজের কথা খাতায় লিখে রাখেন। তাঁর সে খাতা ক্রমশ স্ফীত হয়। এতে শিক্ষার্থীদের গ্রামাঞ্চলের গবেষণা ও জীবনযাপনের বিভিন্ন দিক লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। চাংয়ের দৃষ্টিতে এমন কাজ অনেক তাত্পর্যপূর্ণ। কৃষিক্ষেতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য, গ্রামবাসীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া এবং কৃষকদের উত্পাদনকাজে সহায়তা করা। কেবল শিক্ষার্থীদের কৃষিকাজ করতে পাঠানো এবং তাঁদের ফিল্ড জরিপে গিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে দেওয়া এ প্রক্রিয়ার একমাত্র লক্ষ্য নয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাঙ্গণ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৃজনশীলতা, সামাজিক পরিষেবা ও দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা। এভাবে কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করার, নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেদের আয় বাড়ানোর সুযোগ পান এবং শিক্ষার্থীরাও গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।