চীনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক-শিক্ষার্থীর গ্রামাঞ্চলে কাজ করার গল্প
সম্প্রতি চীনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাঙ্গণের শিক্ষার্থীদের চিঠির জবাব দেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। জবাবি চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সবার যৌথ প্রয়াসে হ্যপেই প্রদেশের ছুচৌ এলাকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাঙ্গণ স্থাপিত হয়েছে, যা গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভুমিকা রাখছে। এটা আনন্দদায়ক খবর। তোমাদের চিঠিতে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে নিজেদের দক্ষতা ব্যবহারের আগ্রহের কথা ফুটে উঠেছে, যা প্রশংসনীয়। নতুন যুগে চীনা যুবকদের এমন চেতনা থাকা খুবই প্রয়োজন।
চীনের প্রকৌশল একাডেমির শিক্ষাবিদ চাং ফু সুও এ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাঙ্গণের প্রতিষ্ঠাতা। কৃষি বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের কৃষি-উত্পাদনস্থলে পাঠিয়ে তত্ত্ব ও বাস্তব অনুশীলনের সংমিশ্রণ ঘটানো তাঁর মূল উদ্দেশ্য। তিনি আশা করেন, এতে গ্রামাঞ্চলে কৃষি-উন্নয়নের পথে বিদ্যমান সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা যাবে।
বস্তুত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাঙ্গণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও সমাজের মধ্যে পার্থক্য, বিভিন্ন মেজরের মধ্যে পার্থক্য, এবং শিক্ষাদান ও বিজ্ঞান-গবেষণার পথে বাধা নির্মূলের কাজ চলছে।
শিক্ষাবিদ চাং বলেন, প্রতিবছরের কৃষি-মৌসুমে শিক্ষার্থীরা কৃষকদের সাথে কৃষিক্ষেতে ফসল সংগ্রহের কাজ করে থাকে। গম, ভূট্টাসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা এবং মাটির গঠন পরীক্ষা করাসহ বিভিন্ন কাজ করতে হয় তাদের। এ প্রাঙ্গনে বিগত ১৪ বছর ধরে এমন ধারা কাজ হচ্ছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রাঙ্গণের জীবনযাপন ও লেখাপড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। কেউ কেউ মনে করেন, তাদের মাস্টার্সের জীবন প্রায় পুরোটাই গ্রামীণ পরিবেশে কেটেছে কেউ কেউ মনে করেন, এখানকার পড়াশোনা ও জীবন তাদের মনে গভীর দাগ কেটেছে।