সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামতকারীর গল্প
চীনা সভ্যতার ইতিহাস পাঁচ হাজার বছরের। প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রাজবংশ আমলে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি এখনও চীনের অনেক জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে। তবে কালের আবর্তনে, সেসব ঐতিহ্যিক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির অনেকগুলোই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই, এগুলো মেরামত করে সংরক্ষণ করা জরুরি।
সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামত ও সংরক্ষণের কাজ অতি গুরুত্বপূর্ণ। চীনে সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামতকারীদের চাকরি বিগত কয়েক বছর ধরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চীনের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এমন বিশেষজ্ঞ গড়ে তুলতে নতুন বিভাগ চালু করেছে। তবে, ঐতিহ্যিক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামত করার কাজটা সহজ নয়। সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির ধরনও অনেক বেশি। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামতকারীদের কয়েকজনের গল্প তুলে ধরবো।
২০২২ সালে চীনের শানসি প্রদেশের রাজধানী থাইইউয়ান শহরে সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামতের দক্ষতা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় ১৪৯টি বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি ব্যবহার করা হয়। চীনের ২৭টি প্রদেশের ২১৯ জন প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তাঁরা ১৪ ঘন্টার প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামত করেন এবং তাঁদের মধ্যে ৭৪ জন প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণীর পুরস্কারও লাভ করেন।
প্রশ্ন হচ্ছে: সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামতকারীর নতুন পেশা চীনা যুবক-যুবতীদের মধ্যে কতোটা জনপ্রিয়? এ কাজ শিখতে গেলে তাদেরকে কোন কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়? বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায়না ইয়ুথ পত্রিকার সংবাদদাতা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেন।
বস্তুত, সিনিয়র সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামতকারীরা এ কাজে যুবক-যুবতীদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে আশাবাদী। ২০১৬ সালে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এ প্রামাণ্যচিত্রের নাম ‘আমি রাজপ্রাসাদে সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামত করি’। এটি প্রচারিত হবার পর সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামতকারীদের পেশা ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ২০২১ সালে ‘সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামতকারীদের যোগ্যতার জাতীয় মানদন্ড’ প্রকাশিত হয়। তখন থেকে সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি মেরামতকারী একটি নতুন পেশা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়।