বয়স্কদের যত্ন ও চীনা যুবক-যুবতীদের নতুন চাকরির সুযোগ প্রসঙ্গ
যুব নার্সিং কর্মী ইন খাই ইয়ু বলেন, প্রবীণদের যত্ন নেওয়া নার্সিং কর্মীদের বেতন বেশি নয়। বর্তমানে ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী কর্মীরাই নার্সিং কর্মীদলের মূল শক্তি। ২০২০ সালে চীনের পেশাদার নার্সিং কর্মীদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের বয়স ৪৬ বছরের চেয়ে বেশি ছিল।
মিস ইন বলেন, বয়স্কদের নার্সিং পরিষেবা দানকারীদের সামাজিক মর্যাদা একটু কম। তাই অনেক যুবক-যুবতী এ চাকরি করতে চান না। তা ছাড়া, শুরুর দিকে কাজটি তেমন আকর্ষণীয় মনে হয় না। কিন্তু কয়েক বছর একাধারে কাজ করে গেলে তখন পেশাটি প্রায় সবারই ভালো লাগতে শুরু করে।
বয়স্কদের বহুমুখী নার্সিং চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সও সম্পন্ন করেছে ইন খাই ইয়ু। দৈনন্দিন যত্ন, মৌলিক নার্সিং, সাধারণ রোগের নার্সিংসহ বিভিন্ন কাজে তিনি দক্ষতা অর্জন করেছেন। পাশাপাশি, জাপানের বীমা নার্সিং ব্যবস্থা সম্পর্কেও তাঁর ভালো জানাশোনা আছে। জাপানের বীমা নার্সিং ব্যবস্থা জাপান থেকে আসা এক ধরনের নার্সিং ব্যবস্থা, যা বয়স্কদের যত্ন নেয়। জাপান সরকার এ বিশেষ বীমা ব্যবস্থা চালু করেছে। জাপানি নাগরিকরা ৪০ বছর বয়স থেকে ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত এ বীমার জন্য বার্ষিক প্রিমিয়াম জমা দেন এবং ৬৫ বছর বয়স থেকে সরকার তাদের হয়ে প্রিমিয়াম দেয়।
বীমার আওতায় নার্সিং কর্মীর বেতন ও ব্যবস্থাপনার খরচ বহন করা হয়। তাদের নার্সিং ব্যবস্থায় দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ, কাপড়চোপড় ধোয়া, শপিং ও রান্নার কাজে সহায়তা, বাড়িঘরে বয়স্কদের স্নানে সাহায্য করা, শরীরচর্চা, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত বয়স্কদের বাড়িতে যান নার্সিং কর্মীরা। তাদের খাওয়া, থাকা, পুনর্বাসন ও বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা সহায়তা দেন।
লেই সিয়াও চিং বেইজিংয়ের একটি নার্সিং পরিষেবা কোম্পানির নার্সিং কর্মী। তিনি সিনিয়র কর্মীর যোগ্যতা অর্জন করেছেন। বর্তমানে বয়স্কদের পরিষেবা শিল্পে দক্ষ ও পেশাদার ব্যক্তিদের দরকার। নতুন জ্ঞান ও তথ্য জানা এ পেশায় খুব জরুরি। তা ছাড়া, এই পেশায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারও দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি লেই’র কোম্পানি আরও উন্নত ‘স্নান সহকারী সরঞ্জাম’ কেনা হয়েছে। তিনি এ নতুন সরঞ্জামের ব্যবহারপদ্ধতি শিখেছেন। এখন তিনি এই সরঞ্জাম ব্যবহার করে বয়স্কদের সংশ্লিষ্ট সেবা দিতে পারেন।