বয়স্কদের যত্ন ও চীনা যুবক-যুবতীদের নতুন চাকরির সুযোগ প্রসঙ্গ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে বয়স্ক লোকের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিষয়টি চীনে এখন একটি প্রধান আলোচ্য বিষয়। ক্রমবর্ধমান প্রবীণদের যথাযথ যত্নের ব্যাপারটি এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ইস্যু। এ প্রেক্ষাপটে চীনে প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট নতুন ধরনের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক তরুণ-তরুণী এই সুযোগ গ্রহণ করছেন। আজকের আসরে আমরা এই নতুন চাকরি ও চাকরির সুযোগ গ্রহণকারীদের সম্পর্কে আলোচনা করবো।
চীনের প্রবীণদের যত্নের সাথে সম্পর্কিত যেসব চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বা হচ্ছে, সেগুলোর সুন্দর সুন্দর নামও আছে। যেমন, ‘স্নান সহকারী’, ‘হাসপাতালে যাওয়ার সহকারী’, ‘প্রবীণদের স্বাস্থ্যরক্ষক’ ইত্যাদি। এসব কর্মী বা সহকারী প্রবীণদের যত্ন নেন, বিভিন্ন ধরনের সেবা দেন। দিন দিন এসব পেশা ও সেবার মানও বাড়ছে।
১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণকারী নারী ইন ইয়ু হুই বর্তমানে ৫০০ জনেরও বেশি প্রবীণ ব্যক্তির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের বয়স ৯০ বছরেরও বেশি। শানতুং প্রদেশের ওয়েহাই শহরে জন্মগ্রহণকারী এ মেয়ে এসব প্রবীণের কাছে নাতনীর মতো। তাঁর প্রধান কাজ প্রবীণদের দেখাশোনা করা। তাঁদের হাসপাতালে ডাক্তারদের কাছে নিয়ে যাওয়া, দৈনিক খাবার খাওয়ানো, তাদের জন্য ডায়াপার কেনা ও চুল কাটানোর ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন কাজ নারী ইন ইয়ু হুই’র চাকরির মূল অংশ। প্রতিদিন তাঁর মোবাইল ফোন ব্যস্ত থাকে। তিনি মনোযোগ দিয়ে প্রত্যেক প্রবীণের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন।
নিজের এ চাকরি সম্পর্কে ইন বলেন, “প্রবীণরা একসময় যুবক বা যুবতী ছিলেন। তাঁরা ধীরে ধীরে বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা হয়েছেন। তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। আমরা এখনও তরুণ। তাই, বৃদ্ধ হওয়ার পর তাদের মানসিক অবস্থা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে, মোকাবিলা করতে হবে। তাদের মনের অবস্থা ভালো করে বুঝতে হবে।”