বয়স্কদের যত্ন ও চীনা যুবক-যুবতীদের নতুন চাকরির সুযোগ প্রসঙ্গ
অনেক বয়স্ক লোক একা একা বাড়িতে থাকেন। বয়স্ক হওয়ার কারণে তাঁরা ভালো করে নিজেদের যত্ন নিতে পারেন না। তাই ইন ইয়ু হুই তাদের কাপড়চোপড় ধুয়ে দেন, টয়লেট পরিষ্কার করে দেন। এ কাজে অভ্যস্ত হতে তাঁর সময় লেগেছে।
প্রবীণদের পরিষেবাকেন্দ্রে মোট ৮ জন পেশাদার নার্সিং কর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ জন প্রবীণদের দেখাশোনা বিভাগ থেকে স্নাতক হয়েছেন এবং তাদের বয়স ৩০ বছরের চেয়ে কম। ১৯৯৯ সালে জন্মগ্রহণকারী মেয়ে লিউ রুই প্রবীণদের পরিষেবা ও যত্ন বিষয়ে স্নাতক হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কাজে যোগ দেন।
মেয়ে লিউ রুই’র জন্মস্থান চীনের হ্যপেই প্রদেশের পাওতিংয়ের গ্রামাঞ্চলে। প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার এই নতুন শিল্পের ভবিষ্যত সম্পর্কে তিনি বলেন, “প্রবীণদের দেখাশোনার কাজ সহজ নয়। তবে, প্রবীণদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানার জন্য এই পেশাটি বেশ কাজের।” তাঁর কাজের তাত্পর্য সম্পর্কে লিউ বলেন, একবার একজন বৃদ্ধাকে খাবার দেওয়ার সময় তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি লাঞ্চ খেয়েছো? বৃদ্ধার প্রশ্ন শুনে লিউ আপ্লুত হন।
নার্সিং কর্মী ইন বলেন, যুবক-যুবতীদের প্রাণশক্তি ও প্রাণবন্ত চরিত্র বয়স্কদের মেজাজ-মর্জির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। মিস ইন বৃদ্ধা চাওয়ের গল্প তুলে ধরেন। চাও সুস্বাদু খাবার খেতে বেশ পছন্দ করেন। মিস ইনের সাথে তিনি অনেক নতুন খাবার খেতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় গেছেন। পিজা, বুফে, লবস্টার ইত্যাদি তিনি ইনের সাথে খেয়েছেন। চাওয়ের সাহচর্যে মিস ইনও তাঁর ভালোবাসা অনুভব করেন। একসময় চাও আলঝাইমার রোগে আক্রান্ত হন। ইন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আশা করি, তিনি আমাকে ভুলে যাবেন না।’
আগেই বলেছি, বর্তমানে চীনে বয়স্ক লোকদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই, তাদের যত্ন নিতে পারদর্শী নার্সিং কর্মীদের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। বিশেষ নার্সিং প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় পাস করে তাদেরকে এই পেশায় ঢুকতে হয়।