চীনের প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নতুন শখ প্রসঙ্গে
ফ্যাশনেবল ব্রেসলেট ছাড়া বর্তমানে চীনা প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কার্টুনের স্টিকার, মোমের সীল এবং ছবি আঁকার নোটবুক বেশ জনপ্রিয়। বাচ্চারা কার্টুন স্টিকার ব্যবহার করে নিজের নোটবুক আর বইসহ বিভিন্ন স্টেশনারি সাজায়। এ কাজ চীনা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়। একটি নোটবুক সাজানো শেষ করে তারা খুশি হয়।
মোমের সীল হল আরেকটি সৃজনশীল খেলা। জ্বলন্ত মোমবাতি থেকে সৃষ্ট গলিত মোম দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা যায়। মোমবাতি গলার দৃশ্যটাও বাচ্চাদের কাছে আকর্ষণীয় একটি ব্যাপার।
ছবি আঁকার নোটবুক এখন চীনা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি খেলা। সেটি জাপান থেকে সারা বিশ্বের বাচ্চাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক বাচ্চা তাদের নোটবুকে প্রতিদিনের স্মৃতি ও অনুভূতি নিয়ে ছবি আঁকে এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা রচনা করে। এমন নোটবুকের সাদা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সুন্দর স্টিকার লাগানো হয়। তবে, এমন নোটবুকের দাম সাধারণ নোটবুকের চেয়ে বেশি।
আগেই বলেছি, লেখাপড়ার সময় অনেক বাচ্চা মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়। বস্তুত, এটি কেবল বাচ্চাদের সমস্যা নয়, বরং বড়দের জন্য আরও বড় সমস্যা। তাদের ওপর জীবনের চাপ অনেক বেশি। প্রত্যেকটি মানুষ কোনো-না-কোনোভাবে মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়। তাই চাপ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানসিক চাপ কমানোর জন্য হালকা সংগীত শোনা যেতে পারে। হালকা ও ধীর লয়ের সংগীতের সুর মন শান্ত করে। একটি সুন্দর কনসার্ট শোনাও বেশ আরামদায়ক ব্যাপার। আর যে নিজেই গান গাইতে পারে, সে গুন গুন করে মানসিক চাপ কমাতে পারে।
জীবনে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় আমাদেরকে। এসব ঝামেলা মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরি। যদি কেউ নিজেকে বিশ্বাস করতে না পারে, তাহলে মনের চাপ তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। আর এ ধরনের চাপ দীর্ঘকাল থাকলে মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত হবে।