চীনের গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে উপযুক্ত ব্যক্তিদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রসঙ্গে
শিক্ষক চিয়ানের দৃষ্টিতে, ‘সুনির্দিষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা’ কৃষিকাজে দক্ষ ব্যক্তিদের আকর্ষণের চাবিকাঠি। তিনি মনে করেন, কৃষি কারিগরি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আগে কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্পর্কে জানাতে হবে ও তাদেরকে উত্সাহ দিতে হবে। এর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে, তাঁরা স্নাতক হবার পর গ্রামে গিয়ে কাজ করতে উত্সাহিত হবে। কৃষি খাতের গুণগত মানসম্পন্ন দক্ষ প্রযুক্তিকর্মীদের গ্রামাঞ্চলে থাকার সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং তাদের জন্য কিছু সুবিধাজনক নীতি চালু করতে হবে। মনে রাখতে হবে, গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে তাদের অবদান জরুরি। এমন স্নাতক শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সময়ে গ্রাম পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির সুযোগও থাকা দরকার। এতে তাঁরা উত্সাহিত হবে।
বিভিন্ন এলাকায় গ্রামে মৌলিক স্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের মতো, কৃষি কারিগরি স্কুলের স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্যও সুবিধাজনক নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। যেমন, গ্রামাঞ্চলে তাদের কাজের সময় ৩ বছর পার হলে, তাঁরা সরকারি কর্মকর্তার পদমর্যাদা পাবে—এমন নিয়ম করতে হবে। বিশেষ করে, খাদ্যশস্যের উত্পাদন এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ কৃষিজাত দ্রব্য উত্পাদন এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নির্দিষ্ট পরীক্ষাব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ভর্তুকির ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। আর এভাবে আরো বেশি দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে কৃষি কারিগরি স্কুলে ভর্তি হতে উত্সাহিত করা সম্ভব হবে।
চীনের হেইলংচিয়াং কৃষি কারিগরি একাডেমির প্রধান ইয়ু পো বলেন, কৃষি কারিগরি স্কুলের দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে তাদের পড়াশোনার খরচ কমিয়ে দেওয়া বা ভর্তুকি দেওয়া জরুরি, যাতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করা যায়। কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্নাতক হওয়ার পর কৃষি ও গ্রামাঞ্চলে তাদেরকে কাজ করতে উত্সাহিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণব্যয়ও ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তিনি।