বাংলা

চীনের গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে উপযুক্ত ব্যক্তিদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রসঙ্গে

CMGPublished: 2023-03-27 10:18:04
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

২০২০ সালে চীনে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। এখন গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনকে নতুন লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রামীণ পুরুজ্জীবন বাস্তবায়ন করতে চাইলে, সেরা ও দক্ষ ব্যক্তিদের প্রয়োজন। তাই, গ্রামাঞ্চলের পুনরুজ্জীবনে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ জোরদার করা এবং গ্রামাঞ্চলের শিল্প ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মধ্যে গভীর সংমিশ্রণের নির্দেশ দিয়েছে চীনের সরকার।

সঠিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নে আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে। কিভাবে গ্রামাঞ্চলের জন্য উপযোগী সেরা ব্যক্তিদের আকর্ষণ করা যায়? কিভাবে সেরা যুবক-যুবতীদের গ্রামাঞ্চলে থাকতে উত্সাহিত করা যায়? এগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বেইজিং কৃষি কারিগরি একাডেমির প্রধান ফান শুয়াং সি তাঁর একটি জরিপের সময় খেয়াল করেন, অনেক ছাত্রছাত্রী তাদের পড়াশোনার সময় কৃষিকে মেজর হিসেবে বেছে নিয়েছে, তবে স্নাতক হওয়ার পর তারা যেসব চাকরি করছে সেগুলোর সাথে কৃষির কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, তাঁরা মনে করে কৃষিকাজ অনেক পরিশ্রমের কাজ।

তিনি বলেন, চীনের বিভিন্ন কারিগরি স্কুলের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী গ্রামাঞ্চলের। আর দেশের ১২ হাজার ৩০০টিরও বেশি কারিগরি স্কুলের ১৩০০টিরও বেশি মেজর গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত। তাই সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সাথে তুলনা করলে, কারিগরি স্কুলের কৃষি বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হবার কথা। অথচ, তাদের অনেকে স্নাতক হওয়ার পর কৃষি খাত বাদ দিয়ে, অন্য খাতে চাকরি নিয়েছেন। গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের কাজে সেরা ব্যক্তিদের অভাব এ কারণেই প্রকট।

চীনের ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চু চিয়া পিংও এ ব্যাপারে তাঁর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। তিনি মনে করেন, মৌলিক পর্যায়ের কর্মপরিবেশ কঠোর, মাসিক বেতন তুলনামূলকভাবে কম, পদোন্নতির সুযোগ কম। এসব কারণ ও বিভিন্ন উদ্বেগের কারণে, কৃষি মেজরের ছাত্রছাত্রীরা স্নাতক হওয়ার পর গ্রামাঞ্চলে ফিরে যেতে আগ্রহী হচ্ছে না।

1234...全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn