চীনের প্রবীণদের শিক্ষা ও প্রসঙ্গকথা
চীনের চতুর্দশ পাঁচশালা পরিকল্পনায় দেশের প্রবীণদের পরিষেবা ও পেনশন পরিষেবা ব্যবস্থা গঠনে বিস্তারিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রবীণদের জন্য আরো বেশি শিক্ষাসম্পদ ও পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতা করে প্রবীণদের শিক্ষার চাহিদা মেটানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক হুয়ান বলেন, বর্তমানে চীনের প্রবীণদের বিশ্ববিদ্যালয় নানা রকমের, যেমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের স্কুল, আবাসিক এলাকার প্রবীণদের স্কুল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রবীণদের স্কুল, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও গ্রামাঞ্চলের প্রবীণদের স্কুল, ইত্যাদি। যদি সমাজের বিভিন্ন মহলের শক্তি একসাথে করা যায়, তবে প্রবীণদের পড়াশোনায় আরো বেশি সম্পদ সংগ্রহ করা সম্ভব।
নানছাং শহরের সিহু এলাকার প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুন সিয়াও মিং বলেন, “বয়স্কদের ভালো করে শিক্ষা দিতে স্কুলের ক্লাসরুম নতুন করে সাজিয়েছি এবং নতুন কিছু শিক্ষাকোর্সও যুক্ত করেছি। অনেক বয়স্ক শিক্ষার্থী বলেন, তাদের বিদেশ ভ্রমণকালে ইংরেজি ভাষা না-জানার কারণে অনেক অসুবিধা হয়। তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা একটি ইংরেজি ক্লাস চালু করেছি এবং প্রবীণদের ভ্রমণের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট সংলাপ ও কথাবার্তার বিষয় ঠিক করেছি। এভাবে আরো বেশি প্রবীণ সহজে ইংরেজি ভাষা শিখতে পারছেন।”
আসলে প্রবীণদের শিক্ষার লক্ষ্য কেবল তাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করা নয়, বরং তাদের জ্ঞানের পরিসীমা বাড়ানো। এভাবে যুগের উন্নয়নের সাথে সাথে প্রবীণদের চিন্তাভাবনাও উন্নত করা সম্ভব। ডিজিটাল পেমেন্ট, মোবাইল ফোন দিয়ে গাড়ি বুকিং করা বা হাসপাতালে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় যদি তারা না-শেখেন, তবে আধুনিক সমাজে প্রবীণদের জীবন অনেক কষ্টের হবে। প্রবীণদের স্কুলে এসব চাহিদা বিবেচনা করে প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হয়েছে। এখন অনেক প্রবীণ এসব স্কুলের কারণে স্মার্টফোন ব্যবহারের পদ্ধতি শিখেছেন। সেটি তাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের ব্যাপার।