বধির মেয়ে চেং স্যুয়ান এখন পিএইচডি ডিগ্রিধারী ভাষাবিজ্ঞানী
প্রতিবন্ধীরা সমাজের বিশেষ একটি গোষ্ঠী। যারা মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল, তারা প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত হয়। সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে চীনে প্রতিবন্ধীর মোট সংখ্যা সাড়ে ৮ কোটির বেশি। তাদের জীবন স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি কষ্টকর ও চ্যালেঞ্জিং। তাই চীনা প্রতিবন্ধীদের স্বাভাবিক জীবনমান ও অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক আগেই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আজকের অনুষ্ঠানে আমরা একজন বধির মেয়ের গল্প তুলে ধরবো, যিনি নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন এবং চীনের প্রথম বধির পিএইচডি ডিগ্রিধারী ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাঁর গল্প বেশ মনোমুগ্ধকর ও উত্সাহব্যঞ্জক। চলুন, তাঁর গল্প শুনি।
চেং স্যুয়ান বেইজিং নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি চীনের প্রথম বধির শিক্ষার্থী যিনি ভাষাবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেছেন। ২ বছর বয়সে জ্বরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বধির হয়ে যান। পরে কঠোর চর্চার পর তিনি ইশারা ভাষা শেখেন। তিনি চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জনের পর ফুতান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন।
ডক্টর চেংকে দেখে বধির বাচ্চাদের বাবা-মারা উত্সাহিত হন এই ভেবে যে, তাদের বাচ্চারাও চেংয়ের মতো জীবনে সফল হতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারে। তবে, চেং স্যুয়ান নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, মুখ দিয়ে কথা বলার জন্য তিনি অনেক কষ্ট ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন এবং বড় হওয়ার পর যখন মুখ দিয়ে কথা বলতে শুরু করেন, তখন অনেকে ভয় পেতো, কারণ তার অনেক শব্দের উচ্চারণ বোধগম্য ছিল না। পরে তিনি ইশারা ভাষা শেখেন। ফলে তার জন্য অন্যদের সাথে যোগাযোগ করা সহজতর হয়।