চীনের চিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উন্নয়নের ইতিহাস
প্রত্নতত্ত্ব মেজর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, দেশে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটের সন্ধানলাভের পর, প্রত্নতাত্ত্বিক কর্মীদের অনুসন্ধানকাজ মিডিয়ার মাধ্যমে দর্শকদের সামনে গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপিত হতে থাকলে, এই মেজরের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়তে থাকে।
প্রাচীনকালের শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও ধ্বংসাবশেষ প্রত্নতাত্ত্বিক কর্মীদের প্রচেষ্টায় নতুন করে সবার সামনে আসে, যা সাধারণ মানুষের জন্য বেশ আকর্ষণীয় ব্যাপার। আজকের অনুষ্ঠানে চীনের চিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উন্নয়নের ইতিহাস তুলে ধরবো।
চলতি বছর চীনের চিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ স্থাপনের সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হচ্ছে। গত ৫০ বছরে এ বিভাগ থেকে ৩০০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী স্নাতক হয়েছেন, যারা চীনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন। যেমন, চীনের তিন গিরিখাত প্রকল্প, দক্ষিণাঞ্চলের জল উত্তর চীনে স্থানান্তর করা, ইত্যাদি। এখন চিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ চীনে সুবিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ব কর্মীদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
১৯৯৩ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত, চীনের ইয়াংসি নদীর তিন গিরিখাত প্রকল্পের পানিতে ডুবে যাওয়া এলাকায় স্থানীয় পুরাকীর্তির সংরক্ষণকাজ চলে। চীনের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৬৪টি প্রত্নতত্ত্বদল তিন গিরিখাতে যায়, যাদের মধ্যে অর্ধেক দলের প্রধানগণ চিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থী।
১৯৭৭ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ওয়াং ওয়ে অধ্যাপক চাং চং ফেইয়ের ক্লাসে প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাবিষয়ক প্রশ্ন করেন। বর্তমানে তিনি চীনা সভ্যতার উত্স অনুসন্ধান-প্রকল্পের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। যখন তিনি চিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, তখন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যাপক চাং চং ফেই কঠোর ও গম্ভীর মনোভাব নিয়ে এ গবেষণাকাজ করছিলেন। তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাস্তব দিক থেকে প্রশ্ন করার জন্য বলতেন। তাঁর ক্লাসে বই না-পড়ে, ফিল্ডে না-গিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পাওয়া যেতো না। অধ্যাপকের গভীর প্রভাব পড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্মৃতিতে গভীর দাগ কেটেছেন তিনি। যদিও এখন তাদের সবার বয়স ৫০, কিন্তু তারা অধ্যাপক চাংয়ের সাথে দেখা করতে গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেন।