২০২২ সালে চীনের শিক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী: পিছন ফিরে দেখা
চীনের বাধ্যতামূলক শিক্ষা খাতে শিক্ষকের মোট সংখ্যা ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার জনেরও বেশি, যা চীনের শিক্ষকদের মোট সংখ্যার ৮৬ শতাংশ। বাধ্যতামূলক শিক্ষা দেশের শিক্ষার অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন যুগে শ্রেষ্ঠ ও দক্ষ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। পাশাপাশি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ পরিকল্পনাও পাস করা হয়।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ২০২৫ সালের মধ্যে চীনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি নির্মিত হবে। আর এভাবে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে মাস্টার্স ডিগ্রীপ্রাপ্তদের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। তারা স্কুলের শিক্ষাদানে নেতৃত্বের ভুমিকা পালন করবেন। ২০৩৫ সালের মধ্যে আরো উন্মুক্ত, সহযোগী ও উচ্চ মানের শিক্ষক শিক্ষাদান ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তখন শিক্ষকদের সংখ্যা ও মান চীনের শিক্ষার উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। তা ছাড়া, চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছর দারিদ্র্যমুক্ত জেলা, মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের অনুন্নত সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন স্কুলের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তারা স্নাতক হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট জেলায় কাজ করবেন।
২০২২ সালের পয়লা মে চীনের কারিগরি শিক্ষা আইন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। সেটি ১৯৯৬ সালের পর কারিগরি শিক্ষা আইনের প্রথম সংশোধিত আইন। এ আইনে বলা হয়েছে, চীনের কারিগরি শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষা সমান মর্যাদা পাবে। সরকার কারিগরি খাতে প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি করবে। এভাবে সমাজে কারিগরি শিক্ষার প্রতি স্বীকৃতিও বাড়বে।
কারিগরি শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষার ব্যবধান দূর করতে কারিগরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মর্যাদা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, ও উন্নয়নের সমান সুযোগ দেওয়া জরুরি। নতুন নিয়মে স্নাতক হওয়ার পর তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগে কোনো তারতম্য থাকবে না। ফলে কারিগরি শিক্ষার্থীরা কোনো কোম্পানি বা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বৈষম্যের শিকার হবেন না।