চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের যুব-গবেষকদের আরও বেশি উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন
এবারের নতুন পর্যালোচনা ব্যবস্থায় চীনের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রকল্প ও তহবিলে বিভিন্ন প্রতিবেদনের সংখ্যা কমানো হয়েছে। এতে যুব-গবেষকদের সময় বাঁচবে। তা ছাড়া, প্রকল্পের পর্যালোচনার মেয়াদ স্থগিত করা হয়েছে আর ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যুব-গবেষকদের বাস্তব কার্যক্রমের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে, যাতে যুব-গবেষকদের ফরম একাধিকবার পূরণ করতে না-হয়।
চীনের ছিংতাও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা বিভাগের পরিচালক লি রোং কুই’র দৃষ্টিতে এবারের চাপ হ্রাস কার্যক্রমে কেবল যুব-গবেষকদের গবেষণাকাজের ওপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, তা নয়, বরং তাদের স্বাভাবিক জীবনের সামনে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে; যুব-গবেষকদের নিয়মিত মানসিক পরামর্শ, বিনোদন তত্পরতা, দৈনিক শরীরচর্চাসহ বিভিন্ন বিষয়ে টিপস দেওয়া হয়েছে। সেটিও ভালো খবর। এখন আর সারাদিন যুব-গবেষকদেরকে গবেষণায় ডুবে থাকতে হবে না। তারা দম ফেলার সময় পাবেন এবং নিজেদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার সুযোগ পাবেন।
শিক্ষক লি আরও বলেন, নতুন চাপ হ্রাস নীতি চালুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক যুব-শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে। তারা নতুন নীতির আওতায় নতুন প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে চায়। স্থানীয় সরকার সুবিধাজনক নীতি বা ব্যবস্থা চালু করাতে তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তারা এখন সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার বিস্তারিত জানতে আগ্রহী। মোদ্দাকথা, যুব-গবেষকদের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান, গবেষণার দায়িত্ব দেওয়া, এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যে প্রয়োজন, তা এখন সবাই স্বীকার করেছেন।
বেইজিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্যু সিয়াও মিং একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। যুব-গবেষকদের জন্য দেশের দুই দফার চাপ হ্রাস কার্যক্রমে তিনি উপকৃত হয়েছেন এবং এ প্রক্রিয়ায় তিনি যুব-গবেষকদের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা উপলব্ধি করেছেন। তাঁর পরামর্শ হচ্ছে, যুব-গবেষকদের পরীক্ষার চাপ হ্রাস করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পদোন্নতি ও স্বীকৃতির ব্যবস্থা করাও দরকার। কারণ, বর্তমানের পর্যালোচক ব্যবস্থায় যুব-গবেষকদের সার্বিক উন্নয়ন দেখাতে হয়। অথচ তাদের সবার প্রাধান্য ও দক্ষতা এক নয়। তাই বহুমুখী দিক থেকে তাদের প্রাধান্য ও সুপ্তশক্তি কাজে লাগেতে উত্সাহ দিতে হবে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্স বেছে নিতে পারেন যুব-গবেষকরা।