চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের যুব-গবেষকদের আরও বেশি উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন
আশার কথা, যুব-গবেষকদের ওপর থেকে বিভিন্ন ধরনের চাপ কমিয়ে দিতেই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আসলে, সৃজনশীল সুপ্তশক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যুব-গবেষকদের ওপর চাপ অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। তাই তাদের চিন্তা ও উদ্বেগ কমিয়ে দেওয়া এবং তাদেরকে নিজেদের শক্তি ও মেধার বেশিরভাগটা গবেষণায় নিয়োজিত করার সুযোগ দেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই, এমন সুবিধাজনক নীতিমালা ও পদক্ষেপ তাদের জন্য যথাযথ ও প্রয়োজনীয়। নতুন নীতিমালা অনুসারে, চীনের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা পরিকল্পনায় ২০ শতাংশ পদ পূরণ করতে হবে ৪০ বছর বয়সের নিচের যুব-গবেষকদের দিয়ে। তাদেরকে দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও প্রধান কর্মীর পদ দিতে হবে। আর চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির নতুন প্রকল্পের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বয়স ৪৫ বছর চেয়ে কম হলে ভালো এবং এ সংখ্যা ৫০ শতাংশের চেয়ে কম হবে না।
তা ছাড়া, বিভিন্ন মৌলিক গবেষণার বাজেট ও তহবিল আবেদনে যুব-গবেষক, ডক্টরেট শিক্ষার্থী ও নারী বিজ্ঞানীদের জন্য আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। চীনের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সরকারি গবেষণাগার ও সরকারের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মৌলিক গবেষণা বাজেটের নির্দিষ্ট অংশ যুব-গবেষকদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যুব-গবেষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ প্রকল্পও চালু করতে হবে। এটি যুব-গবেষকদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন, কারণ যুবকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নব্যতাপ্রবর্তনের দক্ষতা অর্জন সবচেয়ে ভালো। যদি এসময় তারা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অংশ নিতে না-পারে, তাহলে সহজে আত্মউন্নয়নের সেরা সুযোগ হারিয়ে যাবে। বয়স বাড়লে নব্যতাপ্রবর্তনের ও সৃষ্টিশীলতা কমার আশঙ্কা বেশি।
বিভিন্ন সুবিধাজনক নীতি ছাড়া, মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা ব্যবস্থাও যুব-গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যদি উপযোগী ও উত্সাহব্যাঞ্জক পর্যালোচনা ব্যবস্থা থাকে, তাহলে চাপ হ্রাস করার পাশাপাশি যুবকদের আত্মউন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাও বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ সম্পর্কে চীনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি ভাষা একাডেমির অধ্যাপক কুও ইং চিয়ান বলেন, চাপ হ্রাস কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য যুবকদের আত্মউন্নয়নের সমস্যা মোকাবিলা করা। যদি উপযোগী পর্যালোচনার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয়, তাহলে যুব-গবেষকদের গড়ে তুলতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।