বাংলা

চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের যুব-গবেষকদের আরও বেশি উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন

CMGPublished: 2022-09-19 18:14:07
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

শিক্ষক উ সৌভাগ্যবান। তবে, সাধারণভাবে যুব-গবেষকদের কাজের চাপ বেশি, বেতন তুলনামূলক কম, গবেষণার প্রকল্প আবেদনের প্রক্রিয়া জটিল। যখন যুব-গবেষকরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে চাকরি পান, তখন আলাদাভাবে তাদের নিজস্ব পরীক্ষাগার ও দল গঠন করা খুবই মুশকিলের ব্যাপার। সাধারণত তারা সহকারী গবেষক হিসেবে বিভিন্ন দলে কাজ করেন এবং ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে পেশাদার গবেষণার সুযোগ পান।

যুব-গবেষকদের বার্ষিক গবেষণা-বাজেট খুবই কম, সাধারণত গড়ে মাত্র ২০ হাজার ইউয়ান। অথচ বিভিন্ন পরীক্ষাগারের যন্ত্রপাতি ও বিকারক কেনার জন্য অনেক টাকা খরচ হয়। এ টাকা তাদেরকে অন্যান্য দিক থেকে সংগ্রহের জন্য আবেদন করতে হয়।

তা ছাড়া, তাদেরকে সিনিয়র গবেষকদের সাথে একই মানদণ্ডে যাচাই করা হয় এবং সমান সমান পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। এ সম্পর্কে কুয়াংতুং প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যুব-শিক্ষক লি বলেন, এটি যুব-গবেষকদের জন্য অনেক কঠিন ব্যাপার। কারণ, তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রকল্পের সংখ্যা সিনিয়রদের তুলনায় অনেক কম। একই ধরনের পরীক্ষায় অংশ নিলে তারা সিনিয়রদের চেয়ে পিছিয়ে পড়বেন, এটাই স্বাভাবিক।

একজন যুব-গবেষক যখন চাকরি পান, তখন তাকে অনেক সময় নিয়ে বিভিন্ন মৌলিক ও প্রশাসনিক কাজ করতে হয়। যেমন, বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের আবেদনপত্র, সারাংশ সংগ্রহ, ফর্ম পূরণ করা, ইত্যাদি। তাদের গবেষণাকাজ অফিসের অবসর সময়ে করতে হয়। যদিও পরে স্বাধীন গবেষণা প্রকল্প পেতে পারেন, তবে শুরুর দিকে বাজেট যথেষ্ট নয়। তাদেরকে নানান সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়, যা গবেষণার জন্য মোটেই অনুকূল নয়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের যুব-গবেষকরা আসলে চমত্কার উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। তারা সামাজিক মর্যাদা ও ব্যক্তিগত আয়কে বেশি গুরুত্ব দেন। তবে শুরুতে যুব-গবেষক হিসেবে তাদের বেতন তুলনামূলক কম থাকে। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের গবেষণার চাপ ও জীবনের চাপ—দুটোই তাদের সহ্য করতে হয়।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn