চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের যুব-গবেষকদের আরও বেশি উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন
আমরা সবসময় বলি যে, দক্ষ ব্যক্তি একটি দেশের উন্নয়নের মেরুদণ্ডের মতো। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ওপর অনেক গুরুত্ব দেয় চীনা সরকার। বিশেষ করে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের দক্ষ ব্যক্তিদের উন্নয়ন অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এক পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯ সালের শেষ দিক পর্যন্ত চীনের ৩৯ বছরের কম বয়সী দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের দক্ষ ব্যক্তি ৭৮.৩৯ শতাংশ। আর যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাদের মধ্যে অনেকের বয়স ২৫ বছর থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। বিশ্বের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের গড় বয়সও ৩৮.৭ বছর। আজকের আসরে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের যুব-গবেষকদের প্রশিক্ষণ ও উত্সাহব্যাঞ্জক ব্যবস্থা নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।
উ এন সিউ একজন যুব-গবেষক, যিনি গত বছর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন এবং থিয়ানচিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ প্রিসিশন ইন্সট্রুমেন্ট অ্যান্ড অপটোইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপ-গবেষক হিসেবে যোগ দেন। এখন প্রতিদিন তিনি ব্যস্ত। সাফল্য অর্জনের জন্য তিনি কাজ করে যেতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কারণ, তাঁর দৃষ্টিতে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সুবিধাজনক ব্যবস্থা যুব-গবেষকদের জন্য বেশ ভালো। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আত্মউন্নয়ন ঘটানো উচিত।
তাহলে কিভাবে চীনা যুবকদের প্রাণশক্তি বাড়ানো ও নব্যতাপ্রবর্তনে উত্সাহিত করা যায়? এ সম্পর্কে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ ৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে যুব-গবেষকদের জন্য সুবিধাজনক নীতিমালা প্রস্তাব করা হয়। যুব-গবেষকদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়া, তাদের দায়িত্ব বহন করা, গবেষণার সময় নিশ্চিত করা, মানসিক ও শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটানোসহ বিভিন্ন সুবিধাজনক নীতি চালু হয়েছে।
সংবাদদাতা যুব-গবেষকদের ওপর জরিপ চালিয়েছেন। তাদের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা নিয়েও সাক্ষাত্কারে কথা বলা হয়েছে। উ এন সিউ যুব-গবেষকদের মধ্যে একজন। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ভর্তি হন, তখন তাঁর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে গবেষণার জন্য তহবিলের অভাব। এ সম্পর্কে শিক্ষক উ বলেন, যুব-শিক্ষকদের গবেষণার তহবিল না-থাকলে গুণগত মানের গবেষণার কাজ হতে পারে না। আর যদি তারা কাজে কোনো সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়, তবে তারা সহজে চাকরি হারাতে পারে। অবশ্য শিক্ষক উ খুবই ভাগ্যবান। তিনি থিয়ানচিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নব্যতাপ্রবর্তন তহবিল পেয়েছেন। এ তহবিলের সাহায্যে তিনি নতুন দ্বি-মাত্রিক সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং মাত্র এক বছরেই তাঁর গবেষণা থেকে সাফল্য অর্জিত হয়।