চীনা কিশোর-কিশোরীদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ তৈরিতে সামাজিক উদ্যোগ
যদিও বেশি আয় হয়নি, তবে স্কুলে ফুটবল খেলা প্রশিক্ষণের সুউজ্জ্বল ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী লি। বিশেষ করে ‘দ্বৈত হ্রাস নীতি’ চালু করার পর স্কুলের ক্লাস শেষ হলেও বাচ্চাদের কোনো কাজ থাকে না। এ সময় তাদের দেখাশোনা ও প্রশিক্ষণ ক্লাসের চাহিদা কম নয়। চীনের ছেংতু, কুইচৌ এবং ফুচিয়ানসহ বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরে পিতামাতাদের খরচে সংশ্লিষ্ট সেবা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট খরচ বেশি। তাই স্কুলে ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণের ভবিষ্যত উজ্জ্বল বলেই তিনি মনে করেন।
যুব-ফুটবল উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও ইভেন্ট অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে লি চাও মনে করেন, কিশোর-কিশোরীদের ফুটবল খেলায় কাঠামোগত উন্নয়নের ভারসাম্যহীনতা প্রতিফলিত হয়। তাই ক্রীড়া ও শিক্ষা বিভাগের মধ্যে বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজনে সমন্বয়ের ব্যাপার অনেক জরুরি।
লি’র পর্যবেক্ষণে বেইজিংয়ে কিশোরদের ফুটবল খেলার ইভেন্ট কম নয়। এখানে বিভিন্ন ক্লাস, আবাসিক এলাকা বা শহর পর্যায়ের ইভেন্ট দেখা যায়। ‘আইথিক্য’ ক্লাবের কিছু দক্ষ খেলোয়াড় প্রতিবছর ৭০টির বেশি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে। এটা তাদের শরীরের জন্য বড় চাপ। কেউ কেউ মাত্র ১১ বছর বয়সের। তাদের কেউ কেউ হাঁটুতে আঘাতও পেয়েছে। অন্যদিকে, বেইজিংয়ের অনেক কিশোর-প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নকআউট ধরনের। প্রায় অর্ধেক বাচ্চার কেবল দুই-তিন প্রতিযোগিতা অংশ নেওয়ার পর আর সুযোগ পায় না। তাই যাদের খেলার মান একটু দুর্বল বা মাঝারি মানেন, তাদের প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণের সুযোগও তুলনামূলকভাবে কম।
আসলে লি’র দৃষ্টিতে নিয়মিত ও লীগ ফরম্যাটের খেলা কিশোর খেলোয়াড়দের জন্য আরো ভালো। এভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের সমস্যা খুঁজে বের করা যায় এবং নতুন প্রশিক্ষণ কোর্সে সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধান করা যায়। তবে কম সময়ের মধ্যে বহু প্রতিযোগিতা সমন্বয়ের সংকট সৃষ্টি করে।