চীনা কিশোর-কিশোরীদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ তৈরিতে সামাজিক উদ্যোগ
এ সম্পর্কে লি বলেন, “আমি ফুটবল সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। ফুটবল খেলা কেবল শারীরিক দক্ষতা বাড়ায় না, বরং মানসিক স্বাস্থ্যও উন্নত করে।” নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও চাকরি নেওয়ার পর তিনি সমবয়সীদের তুলনায় দ্রুত প্রশাসনিক কাজ সারতে পারতেন। সেটি ফুটবল খেলার কারণে হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি মনে করেন, শিক্ষাগ্রহণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ‘আইথিক্য’ কোম্পানির মূল কাজ প্রশিক্ষণ দেওয়া। এখানে কোচদেরকে শিক্ষকদের মতো কাজ করতে হয়।
বন্ধুদের সাথে এ ফুটবল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গঠনের পর টানা ৩ বছর ধরে লি চাও নিজের চাকরিও করে যান। তবে ২০১৮ সালে ‘আইথিক্য’ ক্লাবের শাখা ক্যাম্পাসের সংখ্যা ১০টিরও বেশি হয় এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ৫০০ জন ছাড়িয়ে যায়। তখন তিনি কোম্পানির ব্যবস্থাপনার কাজে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাকে তখন বাধ্য হয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে দিতে হয়।
যখন ‘চীনের ফুটবল উন্নয়ন সংস্কার পরিকল্পনা’ চালু হয়, তখন তিনি ও তাঁর অংশীদাররা নিশ্চিতভাবে জানতেন না যে, চীনের ফুটবল ক্যাম্পাসে নাকি সামাজিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে ভালো হবে? তাই দ্বৈত পদ্ধতিতে কাজ করতে থাকেন। তারা ২০টিরও বেশি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চালু করেন। বিভিন্ন স্কুলের খেলার মাঠে ফুটবল প্রশিক্ষণ সেবা দেওয়া শুরু করেন। তখন সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলো থেকে অর্জিত আয় ‘আইথিক্য’ ক্লাবের মোট আয়ের অর্ধেকে দাঁড়ায়। ২০১৮ সালের পর পেশাদার ফুটবল প্রশিক্ষণ থেকে তাদের আয় আরও বাড়ে।
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন স্কুলের ফুটবল খেলার জন্য পুঁজি বিনিয়োগ স্পষ্টভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে তাঁর কোম্পানির সাথে সহযোগিতা করা স্কুলের সংখ্যা ২০১৮ সালের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে মোট আয় প্রায় সমান। কারণ, প্রত্যেক স্কুলে প্রশিক্ষণের জন্য দেওয়া অর্থ অনেক কমে গেছে।