প্রত্নতাত্ত্বিক সহযোগিতা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব অব্যাহত রেখেছে
নটেশ্বর সাইটের আয়তন অনেক বড় এবং এর শক্তিশালী দৃশ্য ও পর্যটন উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে চীন ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ স্থানীয় জনগণের জীবন-জীবিকা ও মঙ্গলের লক্ষ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান পার্ক নির্মাণের সক্রিয় পরিকল্পনা করছে; যা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের আরেকটি প্রতীক।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে একটি উপ-ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু রয়েছে, যা আর্দ্র, গরম, বৃষ্টিবহুল। তা ছাড়া প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান শহর থেকে অনেক দূরে, পানি ও বিদ্যুতের লাইনগুলি পুরানো এবং প্রায়শই বন্ধ থাকে। প্রত্নত্ত্বাতিক দলের সদস্যদের দীর্ঘমেয়াদী খননের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা কষ্ট সহ্য করতে পারে, তবুও তারা জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।
বাংলাদেশে শুকনো মৌসুম ও বর্ষা মৌসুম আছে এবং সাইটে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ শুধুমাত্র শুকনো মৌসুমে করা যায়। এই সময়টি খুবই মূল্যবান। খাওয়া ও ঘুমের পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিকরা তাদের কাজ করার জন্য প্রতিদিন ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সাইটে কাজ করেছেন। এই কঠিন অবস্থায় প্রতিটি পরিকল্পনা সময় অনুসারে সম্পন্ন করা হয়। এই কাজের মনোভাব বাংলাদেশী দলের সদস্যদের সম্মান অর্জন করেছে।
গত কয়েক বছরে চীনা প্রত্নতাত্ত্বিক দল এবং তাদের বাংলাদেশী সহকর্মীরা পরিচিত হয়েছে এবং কাজের মাধ্যমে গভীর বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। নটেশ্বরের ছোট্ট গ্রামটিও চীনা প্রত্নতাত্ত্বিকদের কর্মজীবন ও জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।