শাংহাইয়ে মহামারী, স্নাতক শিক্ষার্থী, ও চাকরির বাজার
মেয়ে হুয়াং মার্কিন জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নিটশে আন্তর্জাতিক রাজনীতি একাডেমির অফার পেয়েছে। অগাস্ট মাসের শেষ দিকে তিনিও বিদেশে যাবেন। প্রথম বর্ষে ইতালির বোলোগলায় পড়াশোনা করবেন। যদিও ইউরোপে যাওয়ার ভিসা কঠিন ব্যাপার নয়, কিন্তু বিমানে টিকিট ও বাড়ি ভাড়া করা একটু মুশকিল ব্যাপার।
আসলে মহামারী প্রতিরোধ করার পাশাপাশি স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা অতি কঠিন ব্যাপার। শাংহাই একটি মহানগর, শহরবাসীদের সংখ্যাও বেশি, তাই এ পরিস্থিতিতে মহামারীর প্রাদুর্ভাব এড়িয়ে যথাযথভাবে স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়া চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা। এ উপলক্ষ্যে কিছু সুবিধাজনক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে। যেমন, শাংহাই শহরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয়ভাবে শ্রম বাজারের চাহিদা সম্প্রসারণ করতে এবং আরো বেশি স্নাতক শিক্ষার্থী নিয়োগ করতে উত্সাহ দেওয়া হয়েছে। শহর পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক নিয়োগ পরিকল্পনায় কমপক্ষে অর্ধেক কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। যথেষ্ঠ স্নাতক শিক্ষার্থী গ্রহণ করলে ৩ বছরের মধ্যে বাস্তব নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন কর্মীর সংখ্যা অনুসারে বার্ষিক মাথাপিছু ৭৮০০ ইউয়ানের ভর্তুকি দেবে সরকার। যদি বেসরকারি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি স্নাতক শিক্ষার্থী নিয়োগ করে এবং ১ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করে, তাহলে সামাজিক বীমার ভর্তুকির জন্যও আবেদন করা যাবে। তা ছাড়া, শাংহাই শহরের সামাজিক দাতব্য সংস্থার ভুমিকা জোরদার করে স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানে ধারাবাহিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরাদের বেছে নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার হবে, যাতে তারা বিভিন্ন আবাসিক কমিউনিটির তৃণমূলের প্রশাসনিক অফিসে চাকরি করতে পারে।