শাংহাইয়ে মহামারী, স্নাতক শিক্ষার্থী, ও চাকরির বাজার
এ সম্পর্কে চীনের চেচিয়াং প্রদেশের তেছিং শহরের একটি ত্বকের যত্ন কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মী বলেন, মহামারীর কারণে আমদানি ও রপ্তানি শিল্পের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এ খাতে কর্মসংস্থারের সুযোগও ব্যাপকবাবে হ্রাস পেয়েছে।
শাংহাই সমুদ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিসি’র সম্পাদক ওয়াং হং চৌ নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনলাইনে লাইভ অনুষ্ঠান করেছেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরির সুযোগ খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছেন। মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে মে মাস পর্যন্ত টানা ১২ বার লাইভ অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “শাংহাইয়ে মহামারীর কারণে লকডাউন হয়েছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের কাজ মহামারীর পর শুরু করলে চলবে না। তাই সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে অনলাইন-সাক্ষাত্কারের ব্যবস্থা করেছি। পরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে, সেরা শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করার জন্য।”
এ সম্পর্কে শাংহাই সমুদ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসংস্থানের পরিষেবা কেন্দ্রের পরিচালক সুন হং কাং বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে মোট ৭৫৫টি কোম্পানির জন্য মোট ১৫ ধরনের স্নাতক শিক্ষার্থীকে আলাদা গ্রুপ করা হয়েছে, যাতে নির্দিষ্টভাবে উপযোগী শিক্ষার্থীদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে সুপারিশ করা যায়।
হুয়াতুং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কু ই চিয়াং ২৬৪ জন স্নাতক শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের জন্য ব্যস্ত। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের বিভাগের কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীর মাস্টার্স প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো নয়, তাই তারা দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা ছেড়ে দিতে চায়।” তিনি প্রত্যেকের পরীক্ষার স্কোর এবং গত কয়েক বছরের পরীক্ষার মান বিবেচনা করেন এবং তাদেরকে অন্য মেজরে মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্য বিবেচনা করেন। এভাবে ৯ জন শিক্ষার্থী নতুন মেজর বেছে নিয়ে মাস্টার্স পরীক্ষায় পাস করেছে। তা ছাড়া, শিক্ষার্থীদের চরিত্র ও প্রাধান্য বিবেচনা করে উপযোগী চাকরির সুপারিশও করেন শিক্ষক কু।