চীনে গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা
শিক্ষক থাং তা পেং তরুণ বয়সে শিক্ষক হিসেবে স্কুলে যোগ দেন। শুরুর দিকে স্কুলে তার কাজ কিছুটা বিশৃঙ্খল ছিল। পরে সিনিয়র শিক্ষক মা ইং ছুই তাকে সাহায্য করেন এবং শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা তার সাথে শেয়ার করেন। ধীরে ধীরে তরুণী শিক্ষক থাংয়ের কাজে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। তিনি এই স্কুলে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হন।
কেবল পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া নয়, অবসর সময়ে স্কুলের শিক্ষকরা বাচ্চাদের মাটি ভাষ্কর্য তৈরি শেখান; স্কিপিংসহ পাঠ্যপুস্তকের বাইরের অনেককিছুই তাদের শেখান। ছাত্রছাত্রীদের মানসিক পরামর্শও দিতে থাকেন তারা। স্কুলের বাচ্চাদের অনেকের পিতামাতা বড় শহরে চাকরি করেন। তাই তাদের পারিবারিক শিক্ষা নেই বললেই চলে। এ সমস্যা মোকাবিলায় শিক্ষকরা বাচ্চাদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া শুরু করেন এবং তাদের সুখী জীবন নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হন।
গত কয়েক বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার আগ্রহও অনেক বেড়েছে। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা ও শখ মেটাতে আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছে স্কুল। ক্যালিগ্রাফি ক্লাস, চীনামাটির ভাষ্কর্য ক্লাস চালু হয়েছে। ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে বড় শহরের বাচ্চাদের সাথে অনলাইনে ক্লাস করার অভিজ্ঞতা পাচ্ছে শিশুরা।
মেয়ে থা চিয়া লি কয়েক বছর আগে চোংইসিয়াং প্রাথমিক স্কুল থেকে স্নাতক হয়েছে। এখন সে একটি মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনা করে। প্রাথমিক স্কুলে সে ক্যালিগ্রাফি ও এরহু বাজানো শিখেছে। তার মতো বাচ্চারা এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
চীনের সি’আন চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেক শিক্ষক নি মেংয়ের গল্প
চীনের ইয়ুননান প্রদেশের শিতিয়ান জেলা নুচিয়াং নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। চীনা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এ জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে পারেন সি’আন চিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নি মেং। যখন শিতিয়ানের স্কুলে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, তখন তিনি আবেদন করেন।