বাংলা

চীনে গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা

CMGPublished: 2022-04-18 14:13:34
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

২০০৮ সালের মে মাসে সিছুয়ান প্রদেশের ওয়েনছুয়ান জেলায় ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন সবার জন্যই কঠিন ও দুঃখজনক মুহূর্ত। শিক্ষক চাংয়ের পরিবারের সদস্যরাও তখন ওয়েনছুয়ান জেলায় ছিলেন। তিনি কিন্তু নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যাননি। তিনি দুর্গত এলাকার কাছাকাছি তাপিং গ্রামে গিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতেন। সেই বছরের অগাস্ট মাসে যখন স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়, তখন শিক্ষক চাং নিজ পরিবারে ফিরে যান। নিজের বাবার অসহায় চোখ দেখে তিনি অনেক কাঁদেনও।

দুর্যোগের পর বিভিন্ন পক্ষের সহায়তায় পাইনি প্রাথমিক স্কুলের অবকাঠামো অনেক উন্নত হয়। নতুন কম্পিউটার, সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক যন্ত্র, পিয়ানোসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র এবং খেলাধুলার সরঞ্জাম স্কুলে আসে। ইন্টারনেট প্রযুক্তির ছোঁয়াও লাগে স্কুলে। প্রতিটি ক্লাসে অনলাইনে বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। অতীতে পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি ছিল দুর্বল। কোনো বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতে বললে তারা হয়রান হতো; জানতো না কীভাবে লিখতে হবে। তবে অনলাইন ক্লাস চালু হবার পর তারা বড় শহরের বাচ্চাদের মতো শিক্ষা পাওয়া শুরু করে এবং তাদের শিক্ষার মান অনেক উন্নত হয়। তারা আরও আত্মবিশ্বাসী ও প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে।

সাথে সাথে শিক্ষকদের বেতনও আগের চেয়ে বেড়েছে। ২০১৯ সালে শিক্ষক চাংয়ের উদ্যোগে পাইনি প্রাথমিক স্কুলে ছিয়াং জাতির ইয়াওপাং নৃত্যদল গঠিত হয়। ইয়াওপাং নৃত্য চীনের অবৈষয়িক সংস্কৃতির অন্যতম। স্কুলের বাচ্চারা চাংয়ের সাহায্যে ইয়াওপাং নৃত্যের আমেজ অনুভব করে। গত ২৭ বছরে তাঁর চোখের সামনে অনেক পাহাড়ি বাচ্চা বড় হয়েছে এবং দেশ ও জন্মস্থানের উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখছে।

ছোংছিং মহানগরের থুচিয়া জাতির অধ্যুষিত এলাকার চংইসিয়াং প্রাথমিক স্কুলের সাবেক প্রেসিডেন্ট থান শুন সিয়াং

২০১৯ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ছোংছিং মহানগরে পরিদর্শন করতে আসেন। সেই সময় তিনি থুচিয়া জাতির অধ্যুষিত জেলার চোংইসিয়াং প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণও দেন। সি’র কথা শুনে শিক্ষক থান বেশ উত্সাহ পান। তখন সি বলেছিলেন, জীবনযাপন কষ্টের হলেও বাচ্চাদের কষ্ট দেওয়া চলবে না; দরিদ্র হলেও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখানো চলবে না। দরিদ্র পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের শিক্ষা ও সুখী বাল্যকাল নিশ্চিত করতে হবে। কয়েক বছর পর এই প্রাথমিক স্কুলের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।

首页上一页12345...全文 6 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn