চীনে গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা
বিগত কয়েক বছর ধরেই চীনের গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন এবং সেখানকার শিক্ষা খাতের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়ে আসছে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, গ্রামাঞ্চলে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা দেশের উন্নয়ন ও গ্রামের পুনরুজ্জীবনের জন্য জরুরি। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যুবক বয়সে গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেছেন। তাই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে বরাবরই তিনি আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন। ২০২২ সালে চীনের ‘দুই অধিবেশন’ চলাকালে সরকারি কার্যবিবরণীতে বাধ্যতামূলক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ আর বেতন বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২০১২ সালের পর থেকে চীনের গ্রামাঞ্চল ও দূরবর্তী এলাকার শিক্ষা খাতের মান উন্নয়নে নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করে এসেছে চীনের সরকার। এসব ব্যবস্থার মধ্যে আছে অবকাঠামো নির্মাণ ও স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি। এখন গ্রামাঞ্চলের শিশুরা শুধু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না, বরং ভালো শিক্ষকও পাচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠানে চীনের বিভিন্ন এলাকার গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা খাতের কিছু গল্প শেয়ার করব।
সিছুয়ান প্রদেশের মিয়ানইয়াং শহরের পাইনি জেলার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক চাং সিউ ছিনের গল্প
১৯৯৫ সাল থেকে চাং সিউ ছিন পাইনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দেখতে দেখতে প্রায় ৩০ বছর কেটে গেছে। অতীতের কথা স্মরণ করেন তিনি। অতীতে পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য লেখাপড়া করা অনেক কঠিন কাজ ছিল। দারিদ্র্যের কারণে অনেক পরিবার সময়মতো শিশুদের বই কিনে দিতে পারতো না। তখন শিক্ষক চাং তার নিজের বেতনের টাকা দিয়ে তাদের জন্য বই কিনতেন এবং মাইলের পর মাইল পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করে শিশু-শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যেতেন। সেই সময় স্কুলে কোনো খেলার মাঠ ছিল না। শিক্ষকরা একসাথে নদীর সৈকত এলাকা পরিষ্কার করে মাঠ নির্মাণ করেন। এতে বাচ্চাদের খেলার সুযোগ সৃষ্টি হয়, তাদের মুখে হাসি ফোটে। তাদের আনন্দ দেখে শিক্ষকরাও নিজেদের ক্লান্তি ভুলে আনন্দিত হন।