চীনের মহাকাশকেন্দ্র ও ‘থিয়ানকুং ক্লাস’ সমাচার
দুটি মজার পরীক্ষার পর চীনের মহাশূন্য স্টেশনের দুটি রহস্যময় বিজ্ঞান-পরীক্ষাগার ক্যাবিনেট প্রদর্শন করা হয়। নভোচারী শিক্ষকরা স্ক্রিন ও ভিডিওয়ের মাধ্যমে এ বিশেষ ক্যাবিনেটের ব্যবহার-পদ্ধতি বুঝিয়ে দেন। এমন পরীক্ষাগার ক্যাবিনেট বিজ্ঞান গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ টুল, যা চীনের মহাশূন্য বিজ্ঞানীদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির মহাশূন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের পরিচালক চাং ওয়ে বলেন, চীনের মহাশূন্য স্টেশনে আরও অনেক বিজ্ঞান-পরীক্ষাগার ক্যাবিনেট থাকবে। এভাবে মহাশূন্যে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানো সম্ভব হবে।
এ সম্পর্কে নভোচারী ইয়ে বলেন, দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগার ক্যাবিনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করতে পারেন। চীনের মহাশূন্য স্টেশন মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। তিনি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে উত্সাহ দেন।
এসময় ক্লাসরুমের ছাত্রছাত্রীরা মহাশূন্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগ্রহ ও কৌতূহল প্রকাশ করে। তারা মহাশূন্য ক্লাসের শিক্ষকদের কাছে অনেক প্রশ্ন করেছে। যেমন: মানুষের অশ্রু মহাশূন্যে কী আকারের? অশ্রু কি লম্বা আকারের? এটা কি মহাশূন্য ভেসে থাকে? মহাশূন্য থেকে চাঁদ দেখতে কেমন? মহাশূন্য পানি কি ফুটানো যায়?
নভোচারীরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। অশ্রুসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে নারী নভোচারী ওয়াং ইয়া পিং বিশেষ জবাব দেন। তিনি বলেন, “আমরা মহাশূন্য স্টেশনে অনেক দিন ধরে সময় কাটিয়েছি। তাই আমাদেরকে অশ্রু ঝরানোর মতো সময়ও কাটাতে হয়েছে। সেই সময় আমাদের অশ্রু পৃথিবীর মতো গাল বেয়ে নিচে নামেনি, চোখের কোণেই থেকে গেছে। পৃথিবীর মতো করে কাঁদা আসলে মহাকাশে সম্ভব নয়!”
মজার মজার পরীক্ষা ও ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নোত্তরে থিয়ানকুং ক্লাসের সময় দ্রুত পার হয়ে গেছে। ক্লাসের শেষ দিকে ৩ জন নভোচারী সবার কাছ থেকে বিদায় নেন এবং ছাত্রছাত্রীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।